• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন

মধুপুরে সিএনজি ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৩

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ১০৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

মধুপুর প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া বাগবাড়ী মোড়ে সিএনজি ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক সহ ৩জন মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। রবিবার (১৭সেপ্টেম্বর)বিকাল ৪টার দিকে মধুপুর দিক থেকে ছেড়ে আসা সিএনজি কুড়ালিয়া বাগবাড়ী মোড়ে এসে পৌঁছালে কুড়ালিয়া বাজার থেকে ছেড়ে আসা অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় সিএনজি চালক সহ সামনে বসা দুই যাত্রী মারাত্মক ভাবে আহত হয় এবং অটোরিকশায় বসা কুড়ালিয়া বি.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭/৮জন ছাত্র ছাত্রী অল্পের জন্য মারাত্মক র্দুঘটনা থেকে প্রানে বেঁচে যায়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন এবং অন্যজনকে আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাৎক্ষণিক ভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুস সাত্তার জানান, মধুপুর থেকে ছেড়ে আসা সিএনজি খুব দ্রুত গতিতে এসে অটোরিকশার সাথে লাগিয়ে দিলে এই মর্মান্তিক র্দুঘটনাটি ঘটে। অটোরিকশায় থাকা ছাত্র ছাত্রীরা লাফিয়ে রাস্তার নিচে পরে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী আরিফ হোসেন জানান, আমি বিকট শব্দ শুনে দৌড়ে এসে দেখতে পাই, সিএনজির সামনে বসা দুই যাত্রী সহ চালক চাপা পড়ে আছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে অঝরে রক্ত পড়ছে। আমি স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। ঘটনার কিছুক্ষনের মধ্যে লাউফুলা ফাঁড়ির এসআই আজহার আলী এসে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমানের পরামর্শ ক্রমে সিএনজি ও অটোরিকশা আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যান। বলাবাহুল্য গত জানুয়ারি ২০২৩ সাল হতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ৯ মাসে কুড়ালিয়া বাগবাড়ী মোড়ে ৭টি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে এবং এই সড়ক দুর্ঘটনায় ১জনে মৃত্যু সহ অনেকেই পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ সব সড়ক দুর্ঘটনার জন্য গারো বাজার, সাগরদীঘি, সখিপুর ও ভালুকা এলাকার সিএনজির বেপরোয়া চালকদের দায়ী করছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, এখানে তিন রাস্তার সংযোগস্থল থাকার সত্বেও সিএনজি চালকগন এদিক ওদিক না দেখেই খুব দ্রুতগতিতে এই মোড় পাড়ি দিয়ে থাকে যে কারণে প্রায়ই মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রী ও সাধারণ পথচারী। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, বাহিরের উপজেলার সিএনজি কি ভাবে মধুপুর থেকে যাত্রী আনা নেওয়া করে তা আমাদের বোধগম্য নয়। প্রায় শতশত সিএনজি এই ব্যস্ততম রোডে প্রতিদিন যাতায়াত করছে যার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই এমনকি চালকদের নাম পরিচয়ের কোনো তথ্য কারো কাছে নেই। বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা সিএনজি গুলো প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটিয়ে চলে যাচ্ছে পরবর্তীতে তাদের কোনো নাম পরিচয় পাওয়া যায় না। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীগন এই কুড়ালিয়া বাগবাড়ী মোড়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি স্পিড ব্যাকার সহ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ