• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন

উৎসে কর প্রদানে ডিজিটাল ই-টিডিএসে ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহ

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ১৫৯ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩

উৎসে কর প্রদান স্বয়ংক্রিয় করতে ২০২১ সালের অক্টোবরে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রনিক ট্যাক্স অ্যাট সোর্স (ই-টিডিএস) চালু করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিন্তু করদাতাদের ঝামেলা হ্রাস করার লক্ষ্য নিয়ে ই-টিডিএস ব্যবস্থাটি চালু হলেও দেশে ব্যবসা পরিচালনা ও সেবা প্রদানকারী বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। চালুর প্রথম পাঁচ মাসে অর্থাৎ ২০২১ সালের মার্চে ই-টিডিএসে নিবন্ধন নেয় ৩ হাজার ৬৮৫টি প্রতিষ্ঠান। একই সময়ে মোট ২৫৯ কোটি টাকার উৎসে কর জমা পড়ে।

আর সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৯ হাজার ৭৩৬টি চালানের মাধ্যমে সরকার ১ হাজার ৪২১ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে। যদিও গত অর্থবছরে ই-টিডিএসের মাধ্যমে উৎস কর বাবদ ১০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল রাজস্ব বোর্ড। বর্তমানে ব্যাংক, বহুজাতিক কোম্পানি, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব মিলিয়ে ৫৩টি খাত থেকে উৎসে কর আদায় করা হয়।

এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সারা দেশে প্রায় তিন লাখ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এখন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে উৎস কর জাতীয় কোষাগারে জমা দিচ্ছে। ডিজিটাল সিস্টেমের জন্য প্রচারণার অভাব রয়েছে। পাশাপাশি যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাবে অনেক প্রতিষ্ঠানই ই-টিডিএস ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে না। রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং কর ফাঁকি রোধে কর জমা দেওয়ার ব্যবস্থা ডিজিটাল করার জন্য কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, অনিবন্ধিত সংস্থাগুলো ম্যানুয়ালি উৎসে কর প্রদান করে এবং তাদের বেশির ভাগই নিজেরাই তাদের উইথহোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করে থাকে। জনবল সংকটের কারণে এনবিআর সঠিকভাবে নিরীক্ষা করতে ব্যর্থ হয়। কর কর্মকর্তারা ই-টিডিএসকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছেন, সেমিনার, ওয়েবিনার এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ই-টিডিএসকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা চলছে।

২০২১ সালে যখন ই-টিডিএস পদ্ধতি চালু হয় তখন এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, এ পদ্ধতি পুরোদমে চালু হলে সোর্স ট্যাক্স বিদ্যমান ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮৫ শতাংশে উন্নীত হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান রিটার্ন দেয় সেসব কোম্পানিকে ই-টিডিএসে আনা হলে প্রতি বছর ১০-১২ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আয়কর আসবে। পাশাপাশি মূল্যায়ন এবং নিরীক্ষার মাধ্যমে কর ফাঁকি শনাক্ত করা সহজ হবে।

জানা যায়, বর্তমানে ব্যাংক, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বহুজাতিক কর্পোরেশনসহ প্রধানত বেসরকারি কোম্পানিসহ ৭ হাজার ৩১০টি প্রতিষ্ঠান ই-টিডিএস পদ্ধতিতে নিবন্ধিত।

বর্তমানে প্রায় তিন লাখ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উৎসে কর দিচ্ছে। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার সরকারি ও ১ লাখ ৮০ হাজার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

গত অর্থবছরে আয়কর আদায় হয় ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। যার মধ্যে উৎস কর ছিল ৭৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা বা মোট আয়ের ৬৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ