• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন

এ পি জে আবদুল কালামের প্রয়াণ দিবস আজ

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৭৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩

এ পি জে আবদুল কালাম একজন ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞানী ছিলেন। ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি একজন অধ্যাপক, লেখক, বিমান প্রযুক্তিবিদ। তার পুরো নাম আভুল পাকির জয়নুলাবেদিন আবদুল কালাম।

তার জন্ম বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে। তিনি পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফস কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা (এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিষয় নিয়ে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে পড়াশোনা করেছিলেন।

চল্লিশ বছর তিনি প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। ভারতের অসামরিক মহাকাশ কর্মসূচি ও সামরিক সুসংহত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশযানবাহী রকেট উন্নয়নের কাজে তার অবদানের জন্য তাকে ‘ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব’ বা ‘মিসাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ বলা হয়।

১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পরমাণু বোমা পরীক্ষায় তিনি প্রধান সাঙ্গঠনিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন। এটি ছিল ১৯৭৪ সালে স্মাইলিং বুদ্ধ নামে পরিচিত প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষার পর দ্বিতীয় পরমাণু বোমা পরীক্ষা।

২০০২ সালে আবদুল কালাম তৎকালীন শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি ও বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর এই পদে আসীন থাকার পর তিনি শিক্ষাবিদ, লেখক ও জনসেবকের সাধারণ জীবন বেছে নেন।

ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্নসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছিলেন কালাম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, ভন ব্রাউন পুরস্কার, অনারারি ফেলো, রামানুজন পুরস্কার, বীর সাভারকর পুরস্কার, রাজা দ্বিতীয় চার্লস পদক, ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার এবং ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন।

তার সম্মানে ভারতের অনেক স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রাস্তা, গাছ, এমনকি দ্বীপের নামকরণ করা হয় তার নামে। ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই মেঘালয়ের শিলং শহরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানে বসবাসযোগ্য পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে বেথানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ভারত সরকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালামের মৃত্যুতে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা করে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ