• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

সাহেদ মন্তাজ বাংলাদেশের একজন আলোকিত কবি

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ১১৯ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩

লেখক- নুরুল আলম
মানুষ মরনশীল। জন্মিলেই মরিতে হয়। এটা বিধির বিধান। জন্ম-মৃত্যুর মাঝখানে কিছু মানুষ মহৎ কাজ করে যান তাদের মধ্যে একজন ডঃ সাহেদ মন্তাজ তাঁর জন্ম ১ লা আগস্ট ১৯৭৩ সালে। তিনি একজন বাঙালি কবি যিনি ১৯৯০ দশকের সঙ্গে চিন্নিত। চাকুরীসূত্রে তিনি বাংলা একাডেমিতে বর্তমানে উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত। তিনি একজন সুপারিচিত আধুনিক কবি। তাঁর কবিতার প্রধান বিষয়বস্তুু: প্রেম, বিদ্রোহ, দেশ প্রেম ও সমাজ সচেতনা। তাঁর কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য ছন্দময়তা। তাঁর অন্যতম কাব্যগ্রন্থ আকাশ ছোঁয়ার আনন্দ, বৃষ্টিচোখ, নয়নসুখা, রুপান্তরের যাতনা ও আরাধ্য কান্তা অন্যতম। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ আকাশ ছোঁয়ার আনন্দ প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে। কবি হিসাবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি কামাল চৌধুরীর লেখার সাথে কবি সাহেদ মন্তাজের লেখার কিছুটা মিল রয়েছে। আমি বিশ^াস করি, আগামীতে কবি সাহেদ মন্তাজ বাংলা একাডেমি পুরষ্কার ও ২১ শে পদক পুরষ্কার পেয়ে যেতে পারেন। তিনি মুক্তমনে ছন্দের জাদু দিয়ে কাব্য ভাষার অনুশীলন করেছেন। বাংলা কবিতায় তাঁর অবদান ভোলার নয়। এখনও পর্যন্ত ১২টির ও বেশি তাঁর কাব্যগ্রন্থ বের হয়েছে। তিনি বহু প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন। যেমন: মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড ২০১২, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক ২০১২, নেলসন ম্যান্ডেলা মেমোরিয়াল পিস অ্যাওয়ার্ড ২০১৪, বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ স্মৃতি সম্মাননা ২০১৪, কবি জীবনানন্দ দাস সম্মাননা ২০২২, কুমিল্লা সাহিত্য সংসদ গুণিজন সম্মাননা ২০২২, সহ আরোও অনেক সম্মাননা ভূষিত হয়েছেন। তবে ভবিষ্যতে একজন কবি হিসাবে আমি আশা করি একদিন তাঁর হাতে বড় পুরষ্কার উঠতে পারে। আমি এই বিনয়ী গুণী কবির আগামী সাহিত্য সাধনার উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করি। শিক্ষাজীবন: সাহেদ মন্তাজ, পিতা মোঃ মন্তাজ গাজী, মাতা মোছাঃ আছিয়া খাতুন, স্থায়ী ঠিাকানা গ্রাম পারুলিয়া, উপজেলা দেবহাটা, জেলা সাতক্ষীরা। জন্ম ১লা আগস্ট ১৯৭৩। শিক্ষা গ্রহণ : এসএসসি (বিজ্ঞান), ১ম বিভাগ, পারুলিয়া সাগর সাহা উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯৮৯; এইচএসসি (মানবিক),১ম বিভাগ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ, ১৯৯১; বিএসএস (অনার্স),২য় শ্রেণি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৯৪; এমএসএস (সমাজবিজ্ঞান) ২য় শ্রেণি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৯৫; এমফিল ১ম পর্ব উত্তীর্ণ, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০০০; পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন, ২০২২, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, বিষয় : ‘বাংলাদেশে রাখাইন জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক রূপান্তর : একটি সমাজতাত্ত্বিক সমীক্ষা” কর্মজীবন: উপপরিচালক (প্রশাসন উপবিভাগ), বাংলা একাডেমী, ঢাকা। ইতিপূর্বে চাকরি জীবনের শুরুতে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ : দলিল ও ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশ প্রকল্পে’ গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে যথাক্রমে বাংলা একাডেমি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকুরি করেন। অভিজ্ঞতা : দৈনিক আলোকিত সময়ের প্রাক্তন সহকারী সম্পাদক, রেডিও লাভ বাংলার যুগ্ন-সম্পাদক, রেডিও আমার-এর সংবাদ উপস্থাপক প্রকাশিত গ্রন্থ (গবেষণা গ্রন্থ) : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ : পত্রিকাপঞ্জি (যৌথ), ২০০৮, মুক্তিযুদ্ধের সমাজতত্ত্ব (গবেষণা-প্রবন্ধ), ২০১১, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় : অন্তরালে কথকতা ২০১২, নৃবিজ্ঞান ভাবনা (গবেষণা-প্রবন্ধ), ২০১৩, বাংলাদেশের আদিবাসী : পূর্বাপর, ২০১৪, মুক্তিযুদ্ধে নারীগাথা, ২০১৬, ভাষা আন্দোলন : পূর্বাপর, ২০১৭, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বহির্বিশ্ব, ২০১৮, মুক্তিযুদ্ধে বৃদ্ধিজীবী হত্যা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, ২০২০, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বঙ্গবন্ধু, ২০২১; অনুবাদ-গ্রন্থ : বামপন্থী রাজনীতি ও বাংলাদেশের অভ্যুদয় (যৌথ), ২০০৭; কাব্যগ্রন্থ : আকাশ ছোঁয়ার আনন্দ, ২০০৮, বৃষ্টি চোখ, ২০০৯, নয়নসুখা, ২০১০, কৃষ্ণচূড়ার যত রং, ২০১১, ফিরে আসবে না জানি, ২০১২, অনিন্দ্য অভিলাষ, ২০১৩, দহন, ২০১৪, নীরসতায় নিরতিশয় অবগাহন, ২০১৬, রূপান্তরের যাতনা, ২০২১, আরাধ্য কান্তা, ২০২৩; সম্পাদনা-গ্রন্থ : অমর একুশে স্মারকপত্র ২০১৩, সংগীত সারথি ফরিদা পারভীন, ২০১৪, অমর একুশে স্মারকপত্র ২০১৪, উযধশধ ঈধঢ়রঃধষ ড়ভ ওংষধসরপ ঈঁষঃঁৎব রহ ঃযব অংরধহ জবমরড়হ ২০১২, ২০১৩ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং অতঃপর (অনুবাদ), বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং অতঃপর (অনুবাদ), এছাড়াও দেশ-বিদেশের জার্নাল ও পত্র-পত্রিকায় ৫০ টির অধিক প্রবন্ধ ও নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। পুরস্কার ও সম্মাননা : অমর প্রকাশনী সাহিত্য অ্যাওয়ার্ড ২০০৮, মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড ২০১২, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক ২০১২, নেলসন ম্যান্ডেলা মেমোরিয়াল পিস অ্যাওয়ার্ড ২০১৪, বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ স্মৃতি সম্মাননা ২০১৪, সাতক্ষীরা সুশীল সমাজ বিজয় দিবস সম্মাননা ২০১৬, সমতটের কাগজ গুণিজন সম্মাননা ২০২২, কবি জীবনানন্দ দাস সম্মাননা ২০২২, শহিদ বিধান সম্মাননা ২০২২, স্বাধীন হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন সম্মাননা ২০২২, কুমিল্লা সাহিত্য সংসদ গুণিজন সম্মাননা ২০২২, মাদার তেরেসা মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড ২০২০-২০২২, আব্দুল লতিফ খান আল ক্বাদেরি (রহঃ)-এর ৭২তম বাৎসরিক পবিত্র ওরশ শরিফ সম্মাননা ২০২৩, মা সেরা প্রকাশন সম্মাননা ২০২৩, ওমর সিরাজ জি কিউ ফাউন্ডেশন স্মারক ২০২৩, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ পুরস্কার ২০২৩ ইত্যাদি। সাংগঠনিক সম্পৃকতা : উপদেষ্টা, মুক্তভাষ ফাউন্ডেশন, সহ-সভাপতি, লালান রিসার্চ অ্যান্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন, জীবনসদস্য, বৃহত্তর খুলনা জেলা সমিতি, নির্বাহী সদস্য, মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র, নির্বাহী সদস্য, পেন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, জীবনসদস্য, কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য সংসদ সাহেদ মন্তাজ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সভাপতি, প্রধান অতিথি, উদ্বোধক, বিশেষ অতিথি ও প্রধান আলোচকের দায়িত্ব পালন করেন। সাহেদ মন্তাজ নব্বইয়ের দশক জুড়ে আবৃত্তি অঙ্গনে সক্রিয় ছিলেন। বেশ কিছুদিন ঢাকা পদাতিকেও যুক্ত ছিলেন। ডাঃ সাহেদ মন্তাজ ৫০ বছরের একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষ। তিনি পঞ্চাশ বছরে রচনা করে গেছেন অগ্রণিত প্রবন্ধ ও কাব্যগ্রন্থ। তাঁর বন্ধুরা তাঁর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি সবিনর বের করছেন সতিই এটা একটি মহৎ উদ্যোগ। আমি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে অনেক কবিদের মতে সাহেদ মন্তাজ বাংলাদেশের একজন আলোকিত কবি। আমি এই কবির র্দীঘআয়ু ও নেক হায়াত কামনা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ