• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন

সিরাজগঞ্জে ৪ লাখ কোরবানির পশু প্রস্তুত, ভারত থেকে গরু না আসলে লাভবানের আশা খামারিদের ৩০.০৫.২৩

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৪৭৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩

রাকিবুল ইসলাম রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা কে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় কোরবানির জন্য খামারে ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা পালন ও প্রাকৃতিক উপায়ে কাঁচা ঘাস, খড়, বিভিন্ন প্রকারের ভুষি, ডালের গুঁড়া, ভাত, খৈল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে মোটাতাজা করছেন গো-খামারিরা। বাড়তি লাভের আশায় খামারের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে পশুর বাড়তি যত্ন আর লালন পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও গৃহস্থ পরিবার। সিরাজগঞ্জে ৪ লাখ গবাদি পশুর মধ্যে গরুর, সংখ্যা রয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার ১ লক্ষ ৫২ হাজার ছাগল, ১৫শ, মহিষ ও ৬০ হাজার ভেড়াসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার ১৬ হাজার ছোট বড় খামারি রয়েছে। কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা ১ লক্ষ ৬০ হাজার মিটিয়ে পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন হাটের চাহিদা পুরণ করে থাকে এখানকার গবাদি পশু দিয়ে। এ বছর জেলায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার মোটাতাজা করা পশু ক্রয়-বিক্রয় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এদিকে বেড়েই চলছে গো-খাদ্যের দাম। খামারিদের এখন প্রতিদিন গো-খাদ্যে খরচ বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ। ভারত থেকে গরু আসলে ন্যায্য মূল্যে গরু বিক্রি করতে না পারলে খামারিরা ফলে লোকসান গুনতে হবে অনেক, যার কারনে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা খামারিরা গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি তুলে ধরে বলেন, ৩৭ কেজি ওজনের এক বস্তা গমের ভুষির বর্তমান বাজার মূল্য ২ হাজার ২০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা। ৭৪ কেজির এক বস্তা খৈল এখন ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, গত বছর ছিল ২ হাজার ৮০০ টাকা। ৫০ কেজির ধানের কুঁড়ার দাম ৯০০ টাকা, গত বছর ছিল ৭০০ টাকা। প্রতি কেজি খড় এখন ১৫ টাকা, আগে ছিল ১০ টাকা। এছাড়া খেসারি ও ছোলার ভুসির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। গত কয়েক বছরে ৭ থেকে ৮ দফা গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। খামার শ্রমিকদের দুই বছর আগে বেতন ছিল ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। এখন ১৫ হাজারের নিচে কোনো শ্রমিক কাজ করতে চায় না। পশু পালনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ খামার খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। পাশাপাশি ব্যাংক ও এনজিওর ঋণের অতিরিক্ত সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে খামারিরা খুব একটা লাভের মুখ দেখছেন না। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার জানান, প্রতিটি উপজেলার খামার পরির্দশন করে খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ ওষুধপত্র দিচ্ছি। এবার জেলায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার মোটাতাজা করা পশু ক্রয় বিক্রয় হবে বলে আমরা আশা করছি। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা জেলার বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে কথা বলেছি। প্রতিটি হাটে ব্যাংকের লোক থাকবে। গবাদি পশু ক্রেতা এবং বিক্রেতারা যে কোন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এবং কিউআর কোড ব্যবহার করে ই-ব্যাংকিং লেনদেন সেবা গ্রহণ করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, জেলায় ৩১টি স্থায়ী ও ১৬টি অস্থায়ী পশুর হাটের মাধ্যমে এসব গবাদি পশু বিক্রি করা হবে। এছাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের মাধ্যমে পশুর ছবি আপলোড করে অনলাইনে ও বিক্রি করা হবে বলে তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ