রুশ সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকে ইউক্রেনীয় সেনাদের হামলার উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়াকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করা। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির শীর্ষ উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
জেলেনস্কির সিনিয়র এই সহকারী আরও বলেন, রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধ করে ষুষ্ঠু একটি শান্তি আলোচনায় বসতে বাধ্য করাই এই আক্রমণের অন্যতম উদ্দেশ্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিবৃতিতে পোদোলিয়াক বলেন, ‘ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ড দখল করতে আগ্রহী নয়। তবে আমরা যদি আলোচনার সম্ভাবনার কথা বলি… আমি সম্ভাবনার ওপরই জোর দিচ্ছি…সেক্ষেত্রে আমাদেরকে টেবিলের অপরপ্রান্তে রাশিয়াকে রাখতে হবে।’
‘ইউক্রেন দেখিয়ে দিচ্ছে যে, তারা রাশিয়ার ভূখণ্ড দখল করতে সক্ষম। আর এটাই হবে রাশিয়াকে আলোচনায় বসতে চাপে ফেলার একটি প্রমাণিত ও কার্যকর উপায়’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পোদোলিয়াক বলেন, ‘ইউক্রেনের এই হামলা রাশিয়ার জনমতকেও প্রভাবিত করবে। কারণ, রাশিয়া স্পষ্টতই ভীত। ইউক্রেনীয় বাহিনীর রুশ ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার সক্ষমতা দেখে তারা হতবাক হয়ে গেছে।
গণমাধ্যমের তথ্য মতে, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনারা গত ৬ অগাস্টে হঠাৎ করেই ঢুকে পড়ে। এরপর সাত দিনেই রাশিয়ার ভূখণ্ডের এক হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করে দেশটি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এবারই প্রথম কিয়েভের সেনারা শত্রুভূমির অনেকখানি ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হয়েছে।
দেশটির শীর্ষ সামরিক কমান্ডার বৃহস্পতিবার বলেন, কুরস্কে তারা একটি সামরিক কমান্ড সেন্টার স্থাপন করেছেন।
তিনি জানান, তাদের সেনারা এখনো সামনের দিকে অগ্রসর হতে চলেছে।