বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের হাত থেকে ইসলামী ব্যাংককে রক্ষা করতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে ব্যাংকটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কয়েকশ’ কর্মকর্তা-কর্মচারীর এতে সম্মতি রয়েছে।
গভর্নর বরাবর পাঠানো চিঠিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে সই করেছেন ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এএসএম রেজাউল করিম।
গভর্নরকে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়—আপনি ইতোমধ্যে পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম মারফত দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ-পিএলসি’র বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। ব্যাংকটির বোর্ড অব ডাইরেক্টরস ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্যাংকের তহবিল লুটপাটের কিছু চিত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা মনে করি, বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও ভয়াবহ। দীর্ঘদিন এই লুটপাটের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং ব্যাংকটির প্রতি গণমানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ইসলামী ব্যাংকের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার, ব্যাংকের সব স্টেকহোল্ডারের স্বার্থ রক্ষা, তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন ৪৭ ধারা মোতাবেক ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত, ইসলামী ব্যাংকের প্রতি সহানুভূতিশীল বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অথবা প্রয়োজনে সাবেক পরিচালকদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক ব্যক্তির সমন্বয়ে বোর্ড পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার আশু পদক্ষেপ কামনা করছি।’
জানা গেছে, ব্যাংকের সাবেক পরিচালকদের একটি অংশ ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে।