• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন

সেচ সুবিধায় ৩ জেলায় ফসলের উৎপাদন বেড়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার টন

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৭৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪
Oplus_0

বিশেষ প্রতিনিধি
কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২৭ হাজার হেক্টর জলাবদ্ধ জমি সেচের আওতায় আনার সফলতা পেয়েছে কৃষি বিভাগ। সেচ সুবিধার কারণে এই তিন জেলায় এখন বছরে ফসল উৎপাদন বেড়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার টন, যার মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। সুফল পেয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৭৯০ জন কৃষক। কৃষিতে এমন সফল উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে পতিত জমিতে ফিরবে সোনালী হাসি, খাদ্য উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়বে দেশ।

সোমবার ‘আধুনিক সেচ সুবিধা সম্প্রসারণে কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রভাব, ফলাফল ও ভবিষ্যত করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ।
মূল প্রবন্ধে কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ও বিএডিসির কুমিল্লা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ২০১৯ সালে বিএডিসি কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেচ উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হয়। ৩৪ উপজেলায় ৩৬৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প এ বছর শেষ হচ্ছে। প্রকল্পের শুরুতে তিন জেলায় আবাদযোগ্য জমির ২২ শতাংশ সেচের আওতার বাহিরে ছিল। আধুনিক সেচ, জলাবদ্ধতা ও নিষ্কাশন সুবিধার অভাবে প্রকল্প এলাকার ফসলের উৎপাদন ব্যহত হতো। এখন এসব সমস্যা সমাধানের কারণে ২৭ হাজার ২২৭ হেক্টর জমিতে বছরে ফসল উৎপাদন বেড়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৫ টন। যার আনুমানিক মূল্য ৪০৫ কোটি টাকা। ২০ বছর ধরে জলাবদ্ধ থাকা পতিত জমি এখন তিন ফসলে রূপান্তর হয়েছে। এখনো তিন জেলায় ৭২ হাজার ৭১৯ হেক্টর জমি সেচের আওতার বাহিরে আছে, যা মোট আবাদযোগ্য জমির ১৭.৪১ শতাংশ। ফলে এলাকাভিত্তিক সমীক্ষার মাধ্যমে সেচ এলাকা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে টেকসই প্রকল্প নেয়া যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ বলেন, এ প্রকল্প সারাদেশের জন্য অনুকরণীয়। কারণ দেশে নদীর নাব্য কমছে। পলি পড়ে খাল ভরাট হয়ে গেছে। খাল খননের ফলে একদিকে জলাবদ্ধতা দূর হবে, অন্যদিকে শুকনো মৌসুমে খালের পানি সেচকাজে ব্যবহার করা যাবে।

বিএডিসির প্রধান প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) শিবেন্দ্র নারায়ণ গোপের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএডিসির সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্র সেচ) মো: মজিবর রহমান, সদস্য পরিচালক (সার) মো: আশরাফুজ্জামান, সদস্য পরিচালক (অর্থ) মো: ওসমান ভূঁইয়া, সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) মো: মোস্তাফিজুর রহমান।

মূখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) কুমিল্লা উপকেন্দ্রের প্রধান ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ