বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি ও অন্ধ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি। বুধবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর মিরপুর-১ এ ভিটিসিবি টাওয়ারের সামনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির আজীবন সদস্য মো. আইয়ুব আলী হাওলাদার। আইয়ুব আলী হাওলাদার তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি (বিএনএসবি) ও অন্ধ কারিগরি প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (ভিটিসিবি) নাম ২টি প্রতিষ্ঠান দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কাজ করার নিমিত্তে সরকার কর্তৃক জমি বরাদ্দ দিয়েছিল।
উক্ত জমির উপর সংস্থা ২টির পরিচালনা পর্ষদ নিজেদেরকে প্রভাবশালী ভেবে অত্র জমির উপর বহুতল ভবন নির্মাণ করে একাধিক ডেভেলপার কোম্পানীর সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিনামার মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি আরও বলেন, এই সংগঠন ২টি পরিচালনা করার মতো কোন গঠণতন্ত্র সরকারি অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন না নিয়ে নিজেদের মনগড়া গঠণতন্ত্র তৈরি করে পরিচালনা করে আসছে, যা সম্পূর্ণরূপে বে-আইনি ও অবৈধ। সরকার যাদের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছিল তাহাদের কল্যাণে কাজ না করে, নিজেদের কল্যাণে কাজ করেছে, পরিচালনা পর্ষদকে যথোপযুক্ত দপ্তর থেকে অনুমোদন নেয়নি, অথচ সংগঠন ২টি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত।
পরিচালনা পর্ষদ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের কোন কল্যাণে কাজ করেনি বিধায় গত ২৬ নভেম্বর সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পরিচালক কার্যক্রম ঢাকা এর বরাবরে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়। দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকার পরিচালক (কার্যক্রম) কামরুল ইসলাম চৌধুরী কর্তৃক সাব্বির হোসেন, সমাজ সেবা, অফিসার-১, নিবন্ধন সমাজসেবা অধিদপ্তর সদর কার্যালয়, ঢাকাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেন। সাব্বির হোসেন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে আজ ১০ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
আইয়ুব আলী হাওলাদার আরও বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের দাবি তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্তপূর্বক আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পূর্ণকরত প্রশাসক নিয়োগ করে সংগঠন ২টির সদস্যকরণ, সংগঠন ২টি পরিচালনা করার মতো গঠণতন্ত্র তৈরি করে তা অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনী ব্যবস্থা করাসহ দুর্নীতিবাজ পরিচালনা পর্ষদের অবৈধ কার্যক্রমকে বাতিল করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর থেকে আগত ৩ শতাধিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।