আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তার আগে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে প্রচারণা। শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় জমে উঠেছে ঢাকার চারটি আসন। নির্বাচনী প্রচার জমেছে বেশ জোরেশোরেই। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের এসব আসনে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। নির্বাচন কেন্দ্র করে আসনগুলোতে রয়েছে সহিংসতারও শঙ্কা।
গত নির্বাচনে অর্থাৎ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনে নৌকা প্রতীকে লাঙ্গলের প্রার্থী সালমা ইসলামকে পরাজিত করে এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। আসন সমঝোতা না হওয়ায় এবার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে ঢাকার এই আসনে। সাত জন প্রার্থী থাকলেও এবারও এই আসনে মূল লড়াই হবে নৌকা আর লাঙ্গলেই।
একই অবস্থা ঢাকা-৪ আসনেও। গত দুটি নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনের এমপি ছিলেন জাতীয় পার্টি নেতা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। সমঝোতা না হওয়ায় এবার নৌকার প্রার্থী সানজিদা খানমের সঙ্গেই হবে বাবলার প্রতিদ্বন্দ্বীতা। ট্রাক প্রতীকে লড়াইয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব আওলাদ হোসেন। ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস ঢাকা-৪।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের মৃত্যুর পর উপ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে সংসদ সদস্য হন হাবিব হাসান। জাতীয় পার্টিকে এবার এই আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে এই আসনে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক। মোট প্রার্থী ১০ জন হলেও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের স্ত্রীর এই আসনেও তীব্র লড়াইয়ের আভাস আছে।
প্রার্থী ১০ জন হলেও ঢাকা-১৯ আসনে আওয়ামী লীগের দুই আলোচিত নেতার মধ্যেই এবার মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে। এই আসনে এবারের নির্বাচনে শক্ত অবস্থানে আছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুল রহমান ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুরাদ জং। আসনটিতে এবার মূল প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকা আর ঈগল।