নির্বাচন চলাকালে পর্যবেক্ষকদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। একইসঙ্গে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ভোটার, পোলিং এজেন্ট বা কারও ভিডিও-চিত্র ধারণ না করারও পরামর্শ দেন তিনি। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আয়োজিত নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব পরামর্শ দেন কাজী রিয়াজুল হক। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবেদ আলী।
কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কাজ হচ্ছে ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করা। পরে নিজ নিজ সংগঠনকে রিপোর্ট করা। গণমাধ্যমে কথা বলা এবং ভিডিও ধারণ করা নয়।’ তিনি বলেন, ‘একটি নির্বাচনে অনেক অংশীজন থাকে। এর মধ্যে পর্যবেক্ষকদের গুরুত্ব অনেক বেশি। এ নির্বাচন যত ভালো হোক আপনারা সমালোচনা করেই যাবেন। আবার আরেকটি পক্ষ বলবে, নির্বাচন ভালো হয়েছে। তবে আপনাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। যার জনপ্রিয়তা থাকে, জনগণ এমনিতেই তাকে ভোট দেবে।’
বাঙালি জাতিকে কীভাবে কলঙ্কিত করা যায়, তার প্রতিযোগিতা চলছে জানিয়ে কাজি রিয়াজুল হক বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যথা সময়ে নির্বাচন না হলে দেশে গণতন্ত্র থাকবে না। আমাদের ভাগ্য অন্য কেউ নির্ধারণ করে দেবে না, এটা পরিষ্কার কথা।’
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে খেলা চলছে। এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশিরা নির্বাচন বানচালে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তাই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ভালো করে করবেন। আপনাদের রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরপেক্ষ থেকে কাজ করতে হবে। নিরপেক্ষ রিপোর্ট দেবেন।’