• শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৬ অপরাহ্ন

ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের প্রতিশ্রুতি আ.লীগের

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ১০২ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে ভাড়াভিত্তিক, অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ এবং নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

ইশতেহারে বলা হয়, উন্নত কিংবা উন্নয়নশীল প্রতিটি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যাপ্ত, নির্ভরযোগ্য ও ক্রয়ক্ষমতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ মূল্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংস্থান একটি পূর্বশর্ত। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বিদেশি শোষণ চিরতরে বন্ধ এবং জাতীয় স্বার্থকে সুরক্ষা দিতে দেশের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদসহ সব প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রথম সরকারের সময় (১৯৯৬ থেকে ২০০১) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের ব্যাপক লুটপাট, অব্যবস্থাপনা ও অদক্ষতার কারণে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার সরকারের তিন মেয়াদে দেশে যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক উন্নয়ন করা হয়। ফলে শিল্প ও বাণিজ্য খাত প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলসহ দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ প্রাপ্তি সুনিশ্চিত হয়েছে।

ইশতেহারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নের অঙ্গীকারগুলো হলো— নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা।

বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। পর্যায়ক্রমে ভাড়াভিত্তিক ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ (রিটায়ারমেন্ট) করা হবে।

পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। নবায়নযোগ্য ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য গ্রিড যুগোপযোগী করা হবে।

নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি এবং এই অঞ্চলে আন্তরাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত করা হবে।

সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ২৪ হাজার সার্কিট কিলোমিটারে উন্নীত করা হবে।

পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় সঞ্চালন লাইন নির্মাণ ও পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া সূচনা বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক।

অনুষ্ঠানে দলের সিনিয়র নেতারা, আমন্ত্রিত অতিথি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী, কূটনৈতিক কোরের প্রতিনিধি এবং সমাজের বিশিষ্টজনে, বিভিন্ন দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল উপস্থিত ছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ