রাজপথে যারা সক্রিয় ছিলেন, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে যারা বেশি অবদান রেখেছেন তাদেরকে এবার মনোনয়নে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এবার ফিরে এসেছেন মাঠের নেতারা। এর ফলে তৃণমূল উল্লসিত। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অবদান রাখা যে সমস্ত নেতারা গতবার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন, তারা এবার মনোনয়ন পেয়েছেন। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, বাহাউদ্দিন নাছিম, এস এম কামাল হোসেন অন্যতম। এছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়নের ক্ষেত্রে যে সমস্ত ব্যক্তিরা গত পাঁচ বছরে রাজনীতিতে নিজেদেরকে সক্রিয় রেখেছিলেন এমন ব্যক্তিরা মনোনয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেয়েছেন বলে আওয়ামী লীগ ঘোষিত মনোনয়ন গুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ জায়গা করে নিয়েছেন। এছাড়াও মনোনয়ন পেয়েছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. সাঈদ খোকন এবার মনোনয়ন পেয়েছেন। আর মনোনয়নের ক্ষেত্রে সংগঠনের প্রতি আনুগত্য এবং সংগঠনের প্রতি তাদের ত্যাগ এবং তিতিক্ষা পাওয়া গেছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন না পেলেও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন চাঁদপুর থেকে। আর এর ফলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মাঠের কর্মীদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের বিরুদ্ধে যারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদেরকে মনোনয়ন দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি সুস্পষ্ট একটি বার্তা দিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে নির্বাচনের পরও বিএনপি-জামাতের আন্দোলন অব্যাহত থাকতে পারে এবং সংগঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এই সমস্ত বিবেচনা করেই যারা রাজপথে সক্রিয়, তাদেরকে মনোনয়ন মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এটি একটি সুস্পষ্ট বার্তা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর এ ক্ষেত্রে শুধু নির্বাচন নয়, নির্বাচন পরবর্তীতে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সেটিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আর এই বিবেচনাবোধ থেকেই নির্বাচনের জন্য নির্বাচনের জন্য এমনভাবে মনোনয়ন বিন্যাস করা হয়েছে যেন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মীদের একটা সুস্পষ্ট আধিপত্য থাকে।