• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

পঞ্চগড়-১ ও ২ আসন

শক্ত অবস্থানে আওয়ামী লীগ

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৭৬ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে এর মধ্যে শুরু হয়েছে নির্বাচনী ডামাডোল। বসে নেই রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। প্রবীণ নেতাদের পাশাপাশি কিছু তরুণ নেতাও মনোনয়নের আশায় নির্বাচনের মাঠ গরম করছেন। জেলার দুটি সংসদীয় আসন থেকে কোন দল থেকে কে প্রার্থী হচ্ছেন এ নিয়ে রাজনৈতিক দল ও স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহলের যেন শেষ নেই।
এক সময় বিএনপির দুর্গ বলা হলেও পঞ্চগড় ১ ও ২ আসন একটানা ১৫ বছর আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে থাকায় সেই তকমাও এখন প্রায় বিলুপ্ত। দুর্বল সাংগঠনিক তৎপরতার কারণে আসন দুটিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের নিজস্ব ভোটার সংখ্যাও কমেছে জ্যামিতিক হারে। অন্যদিকে বর্তমান সরকারের আমলে জেলায় দৃশ্যমান অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সরকারি দল আওয়ামী লীগের অনুকূলে থাকলেও সাম্প্রতিককালে স্থানীয় রাজনীতিতে পক্ষ-বিপক্ষ গ্রুপ হওয়ায় আগামী নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা করছেন রাজনীতি সংশ্লিষ্ট অনেকেই। তবে, সরকারি দলের স্থানীয় নেতারা এসব অপপ্রচারে কান না দিতে দলীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধ করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই হিসাব করলে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই সব জোট-মহাজোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী ঘোষণা করবে। তাই হাতে বেশি সময় না থাকায় ইতোমধ্যে পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলায় রাজনীতির মাঠ সরব হয়ে উঠেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের কাছাকাছি গিয়ে তাদের মন জয় করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

যোগাযোগ বেড়েছে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রথম সারির নেতাদের। এমনকি কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারাও এলাকায় এসে নিয়মিত সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন। নির্বাচনী মাঠ সাজাতে নেমেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ জোট-মহাজোটের নেতাকর্মীরা। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক মেরুকরণে কী হতে পারে ও কে কোন দল থেকে নির্বাচনী মনোনয়ন পেতে পারেন এ নিয়ে চায়ের আড্ডায় সচেতন সমাজের প্রতিনিধি ও রাজনীতি নিয়ে ভাবেন এমন লোকজনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও শোনা যাচ্ছে দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা পঞ্চগড়ে।

তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় সদর ও আটোয়ারী উপজেলা নিয়ে গঠিত পঞ্চগড়-১ আসন এবং বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে পঞ্চগড়-২ আসন। আয়তনে ছোট হলেও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রাজনীতির শীর্ষে থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়, জাতীয় সংসদ ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন জেলার কয়েকজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আমলেও পঞ্চগড়কে মন্ত্রিত্ব থেকে বঞ্চিত করেননি আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন পঞ্চগড়-২ আসন থেকে নির্বাচিত নুরুল ইসলাম সুজন এমপিকে। এর আগে ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা মির্জা গোলাম হাফিজকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারকে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট পুনরায় ক্ষমতায় এলে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার স্পিকার নির্বাচিত হন এবং কিছুদিনের জন্য অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিরও দায়িত্ব পালন করেন।

পঞ্চগড়-১ আসন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মজাহারুল হক প্রধান দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী তৎকালীন জাতীয় সংসদের স্পিকার ব্যারিস্টার মুহম্মদ জমিরউদ্দীন সরকারকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের কারণে আসনটি ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হলে আসনটিতে জয়ী হন জাসদ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক প্রধান। তবে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় কোনো প্রার্থী তাদের জোট থেকে ছিল না।

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মজাহারুল হক প্রধান তৃতীয়বারের মতো আসনটি থেকে নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের সাবেক জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তা, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল লতিফ তারিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, আটোয়ারী উপজেলা চেয়ারম্যান তোহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান, তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসীন আলী মণ্ডল মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন। এ ছাড়া ১৪ দলীয় জোটের সাবেক সংসদ সদস্য জাসদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক প্রধান মনোনয়ন দাবি করবেন বলে জানা গেছে। মহাজোটগতভাবে নির্বাচন হলে জাতীয় পাটির আবু সালেক আসনটি থেকে জোটগত মনোনয়ন দাবি করবেন।

এদিকে বিএনপি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথের আন্দোলনে থাকলেও ভেতরে ভেতরে তারাও আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মাঠের রাজনীতি এবং স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে বিভিন্ন পর্যায়ে গণসমাবেশ করছেন। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় নেতারা মাঝে-মধ্যে এলাকায় এসে গণসংযোগ করছেন। অন্যদিকে জেলার রাজনীতিতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে বিএনপি। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় দলীয় তেমন কোনো কোন্দল নেই দলটিতে। নেতাকর্মীদের মিছিল মিটিং বা দলীয় সভা-সমাবেশ খুব একটা না থাকলেও ভেতরে ভেতরে নির্বাচনী মাঠে যোগাযোগ রক্ষা করছেন দলীয় প্রথম সারির নেতারা।

বিএনপির আগের দুর্গ পঞ্চগড়ের আসন দুটি পুনরুদ্ধার করতে তারা দলীয়ভাবে সংগঠিত হচ্ছে। তবে, বিএনপির শরিক দল জামায়াতে ইসলামীও গোপনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জানা গেছে, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র তৌহিদুল ইসলাম বিএনপির মনোনয়ন চাইতে পারেন। আবার গত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার প্রয়াত সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের মেয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান।

২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান জেলা কমিটির সহসভাপতি মজাহারুল হক প্রধান এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৯১ সালে সাবেক স্পিকার ও সাবেক আইনমন্ত্রী মির্জা গোলাম হাফিজ, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় সংসদের সাবেক স্পীকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার জয়লাভ করলেও বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত আসনটি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়।

২০১৪ সালের নির্বাচনে জোটের প্রাথী হিসেবে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক লাঙল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। ওই নির্বাচনে জাসদের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক প্রধান মশাল প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অবশ্য বিএনপি নির্বাচনে না আসায় এ আসনে একাধিকবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নাজমুল হক প্রধান প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তবে জেলা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলা নেতাকর্মীদের ধারণা, আগামী নির্বাচনে মজাহরুল হক প্রধান, আনোয়ার সাদাত সম্রাট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের সাবেক জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তা, জাসদের নাজমুল হক প্রধান, জাপার আবু সালেক যে কাউকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে। জোটের প্রার্থীরা ছাড় না দিলে এ আসনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে নানা মেরুকরণ সৃষ্টি হতে পারে। আসতে পারে দলের ত্যাগী কোনো নতুন মুখ।

পঞ্চগড়-২ আসন
বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা মিলে পঞ্চগড়-২ আসন। এ আসনটি এক সময় আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) দখলে ছিল। ১৯৯১ সালে আট দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে সিপিবির প্রার্থী মো. মোজাহার হোসেন নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে তিনি দল বদল করে বিএনপিতে যোগদান করেন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম সুজনের কাছে পরাজিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় নুরুল ইসলাম সুজন দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পান নুরুল ইসলাম সুজন। একটানা বিজয়ী হওয়ায় তিনি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বেশ সাফল্য দেখিয়েছেন। তাছাড়া চলতি মেয়াদে তিনি রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় পঞ্চগড়-ঢাকা রেলপথের উন্নয়ন, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করণসহ স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল চুক্তি বাস্তবায়ন, স্কুল-কলেজের আধুনিক ভবন নির্মান, সড়ক-মহাসড়কের উন্নয়নসহ পঞ্চগড়ের সার্বিক উন্নয়নে তাঁর বেশ কিছু কর্মকান্ড স্থানীয়রা দেখছেন ইতিবাচক হিসেবে। যে কারণে এ আসনটিতে নুরুল ইসলাম সুজনের অবস্থান বেশ শক্ত অবস্থানে হওয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন এটা প্রায় নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

তবে দীর্ঘদিন ধরেই মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ মালেক চিশতী। এছাড়া জোটবদ্ধ নির্বাচনের জটিল অঙ্কে এই আসনটি চাইতে পারেন কেন্দ্রীয় জাসদ নেতা অধ্যাপক এমরান আল আমিন। দীর্ঘদিন ধরে তিনিও দল ও স্থানীয় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন।

অন্যদিকে, এই আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মোজাহার হোসেনের মৃত্যুর পর দলের কাণ্ডারি হয়ে ওঠেন তরুণ নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন আজাদ। তিনি সাবেক যুব ও ছাত্রনেতাও। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে চান তিনি।

এলাকায় বিএনপির একক নেতা হিসেবে তিনিও নির্বাচনী মাঠ তৈরিতে কাজ করে চলেছেন। জেলা শহর থেকে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত তার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। মাঠপর্যায়ে তরুণ ও যুবকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত এই নেতা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসনটিতে জামায়াত ও জাগপার বড় একটা ভোট ব্যাংক আছে। নির্বাচনে এ ভোট ব্যাংক বিএনপির জন্য সুবিধা বয়ে আনতে পারে। তা ছাড়া জোটগত কারণে আসনটিতে ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান নির্বাচন করলে তার প্রয়াত পিতার রাজনৈতিক ইমেজকে স্থানীয়রা সমীহ করতে পারেন। এতে ভোটের রাজনীতিতে তিনিও হতে পারেন অনেক বড় ফ্যাক্টর। আবার জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে আজিজুল ইসলামের নামও শোনা যাচ্ছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ