সাভার-আশুলিয়া-উত্তরা-মিরপুর ও সিলেটের মৌলভীবাজার সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিলেটের এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লোক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক।এছাড়া সে নিজেকে মৌলভীবাজারের একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। ব্যবসায়িক কাজে সহযোগিতা করার কথা বলে ঢাকার সাভারের এক রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লিখিত স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা ধার হিসেবে নেয় এই প্রতারক।ধারের টাকা পরিশোধ না করে উল্টো ঐ ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে এবং তার রেস্টুরেন্টের মালামাল গভীর রাতে পিকআপ ভ্যানে চুরি করে নিয়ে যায় এবং সেগুলো অন্যত্র বিক্রি করে দেয়।এছাড়া সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড ও সাভার থানা রোডের বিভিন্ন দোকান ও হোটেল থেকে বাকি খেয়ে টাকা পরিশোধ না করে পালিয়ে গেছে।এমনকি পুলিশের এক এসআই এর নিকট থেকে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। সম্প্রতি মৌলভীবাজারে প্রতারণার একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত এই আসামি পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। মৌলভীবাজারে চৌমুহনী এলাকায় কুখ্যাত প্রতারক মো: হাবিবুর রহমান ভূইয়া প্রতারণার মামলায় আটক। জানা যায়,হাবিবুর রহমানের বাবা একজন পাকিস্তানি এবং তার মা নোয়াখালীর বাসিন্দা। কিছুদিন মৌলভীবাজারে চাকুরী করার সুবাদে সিলেটি ভাষা শিখে ও স্থানীয়দের সাথে মিশতে শুরু করে প্রতারক হাবিবুর।সিলটের ভাষা শিখে মানুষকে বিভ্রান্তের মাধ্যমে প্রতারণা করে এসপি,এমপি সহ মন্ত্রীদের নাম ব্যবহার করে চলছিল এ প্রতারক। মোবাইল ফোন চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে প্রতারক হাবিবুর রহমান।কখনো নোয়াখালী আবার কখনো লক্ষীপুর জেলার বাসিন্দা বলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম ব্যবহার করেছে,যেমন হাবিব,হাবুল্লাহ,হাবিবুর রাজু,রাজন সহ বিভিন্ন নাম বহুরুপি এই প্রতারকের। জানা যায়,এক ভুক্তভোগীকে মসজিদে নিয়ে গিয়ে কসম করায় যে তুমি মুসলমান আমি মুসলমান ও নবীর উম্মত।মুসলমানের দোহাই দিয়ে তার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।কখনো এমপি মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লোক বলে নিজের পরিচয় দিয়ে সে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে। অনেক সময় সহজ সরল মানুষদেরকে পুলিশের এসপি ও মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লোক পরিচয় দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো এই প্রতারক।সিলেটের ভাষা জানার কারণে অনেক সিলেটিও তার প্রতারণা হাত থেকে রেহাই পায়নি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভুক্তভূগীরা প্রতারকের নামে একাধিক মামলা করেছে।এভাবে প্রতারক হাবিব মানুষের সাথে এমপি মন্ত্রী নাম ব্যবহার করে প্রতারনা করছে।বিগত কয়েক মাস আগে লক্ষীপুর জেলখানায় জেল খেটে ১২ লক্ষ টাকা প্রতারনা মামলায় বের হয়ে আসে। জেল থেকে বের হয়ে প্রায় ২ বছর ছিল আত্মগোপনে, এরপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় সাধারন মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে প্রতারক হাবিবুর রহমান। সম্প্রতি একটা প্রতারণার মামলায় ওয়ারেন্ট হওয়ায় মৌলভীবাজার পুলিশের হাতে আটক হয় এই প্রতারক।