সালমান এফ রহমানের এই কাজে সহযোগিতা করছেন ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত সহ আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এছাড়াও ওয়াশিংটনে অবস্থানরত বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউসও এ বিষয়ে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত জিয়া উদ্দিন আহমেদও সালমান এফ রহমানের এই টিমকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন এবং মার্কিন রাজনৈতিক কৌশল সম্পর্কে অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে সরকার এর সুফল পাওয়া শুরু করেছে।
বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওয়াশিংটনে জ্যাক সুলিভানের বৈঠকটি ছিল পুরোপুরি ভাবে বিকল্প কূটনীতির ফসল। সালমান এফ রহমান এবং তার টিম এই বৈঠকটির আয়োজন করেছিল এবং এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা ছিল খুবই গৌণ। একই ভাবে সালমান এফ রহমান ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আন্ডারে উজরা জেয়ার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সেই বৈঠকটিও ছিল গোপনীয় এবং বিকল্প কূটনীতিক ফসল
নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন মনোভাব পাল্টানো এবং কতগুলো সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ঐক্যমত আনার লক্ষ্যে এই বিকল্প কূটনীতি চালু করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ধারণা পাল্টে দেওয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সোজাসাপ্টা ভাষায় বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ মনে করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে হল ভোটে যদি ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোটার উপস্থিত থাকে তাহলে তাকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের পরে যেন কোনো রকমের চাপ প্রয়োগ না করে বা নানা রকম বিধি-নিষেধ আরোপ না করে সে ব্যাপারেও এই বিকল্প কূটনৈতিক তৎপরতায় তথ্য আদান প্রদান করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ভুল তথ্য যাচ্ছে। সরকারি চ্যানেলে তথ্যগুলো যাওয়া সময় সাপেক্ষ এবং দীর্ঘসূত্রিতা ব্যাপার। এ কারণে বিকল্প চ্যানেলে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে নির্বাচনের আগে এবং পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশের ব্যাপারে একটি সহনীয় অবস্থানে থাকে সে লক্ষ্যেই এই তৎপরতা চালানো হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে তার ইতিবাচক ফল আওয়ামী লীগ পেতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।