জাহিদ হোসেন সজল, স্টাফ রিপোর্টার:
ঘন চিনি বা সোডিয়াম সাইক্লামেট মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কম খরচে পাওয়া যায় বলে এর সাথে বিষাক্ত সার ম্যাগনেসিয়াম সালফেট মেশানো হয়। যেখানে আসল চিনি ৫০ কেজি লাগে, সেখানে ১ কেজি ঘন চিনিই যথেষ্ট। এই ভেজাল চিনি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি এবং সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হচ্ছে, এবং বাচ্চারা যে জিনিসগুলির দিকে বেশি আকর্ষণ করে, যেমন চকোলেট, আইসক্রিম এবং কনডেন্সড মিল্ক ও বেভারেজ পানীয়। আমদানি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দেদারসে বিভিন্ন নামে আমদানি করা হচ্ছে এবং তা থেকে বিভিন্ন খাবার তৈরি করা হচ্ছে। গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে সাইট্রিক অ্যাসিড, সোডিয়াম সাইট্রেট ও ম্যাগনেসিয়াম সালফেট নামে হাজার হাজার টন চিনি আমদানি করা হয়েছে। ঘন চিনি ক্যান্সার সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। খাবারের সঙ্গে মেশানো হলে প্রথমে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, উচ্চ রক্তচাপ বাড়বে, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ১৯৬০ সালে, যুক্তরাজ্য এবং ১৯৬৯ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে ঘন চিনির ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছিল। এক কেজি ঘন চিনি পাওয়া যায় ২৪০ টাকায় অপরদিকে রাসায়নিক মিশ্রিত ভেজাল চিনির কেজি ১৩০ টাকা। বিভিন্ন উচ্চমানের মিষ্টির দোকানে আসল চিনির পরিবর্তে ভেজাল চিনি ব্যবহার করে কৃত্রিম মিষ্টি ও সুস্বাদু মিষ্টি জাত খাদ্য তৈরি করা হয়। এতে যেমন তাদের খরচ সাশ্রয় হয় লাভ বেশি হয়। বিভিন্ন আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে, কম দামের জুস ও কোল্ড ড্রিংকস ফ্যাক্টরিতে ও ঘন চিনি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফরমালিন আমদানি নিষিদ্ধ করা থেকে শুরু করে বাজার থেকে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে ফরমালিন পরীক্ষা করায় ফরমালিনের ব্যবহার অনেকাংশে কমে গেছে এবং এর সুফল ভোগ করছে সাধারণ মানুষ। ফরমারিনের বিরুদ্ধে অভিযানের মতোই ঘন চিনি মিশ্রিত ভেজাল চিনির বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান শুরু না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অন্ধকারের দিকে ধাবিত হবে।