• শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪০ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ নিয়ে ৭২ আন্তর্জাতিক সংগঠনের বিবৃতি

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৮৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও সংগঠনটির পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ৭২টি সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা রবার্ট এফ কেনেডির ওয়েবসাইটে এই সম্মলিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে অধিকারের আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসিরুদ্দিন এলানকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় নথিভুক্ত করার জন্য প্রতিশোধ হিসেবে খান এবং ইলানকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৭২টি সংস্থা মনে করে আদিলুর এবং এলানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক কাজ বন্ধ করা উচিত।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সেক্রেটারি ও পরিচালক যথাক্রমে খান ও এলানের বিরুদ্ধে অবিরাম শ্লীলতাহানিমূলক প্রচারণা শুরু করেছে। অধিকার বাংলাদেশে একটি আন্দোলনের সময় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নথিভুক্ত করে। প্রতিবেদনটি ২০১৩ সালে প্রকাশের পর তাদরে আটক করা হয়েছিল। সে সময় আদিলুর রহমান খানকে ৬২ এবং এলানকে ২৫ দিনের জন্য আটক রাখা হয়। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর, ২০১৩ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ‘ভুয়া, বিকৃত এবং মানহানিকর’ ছিল অভিযোগ তুলে তাদের ট্রাম্পড-আপ অভিযোগে বিচারিক হয়রানির সম্মুখীন করতে থাকে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ তাদের মামলার শুনানি ত্বরান্বিত করেছে। যার জন্য অধিকারের মতো মানবাধিকার সংস্থাকে দায়ী করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, অধিকারের নেতাদের টার্গেট করার পাশাপাশি, সরকার তাদের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করেছে। সেই সাথে ২০১৪ সাল থেকে সংগঠনের নিবন্ধন পুনঃনবীকরণের আবেদন মুলতুবি রেখে সংগঠনের মানবাধিকারের কাজ পরিচালনা করার ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর, সরকার তাদের বিরুদ্ধে নজরদারি ও হয়রানি বাড়িয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকার প্রতিনিয়ত সংস্থাটিকে প্রকাশ্যে তিরষ্কার করতে থাকে, এমনকি অধিকারের ডকুমেন্টেশনের ওপর নির্ভর করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২২-এর কান্ট্রি রিপোর্ট অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস : বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্যতার সমালোচনা ও প্রশ্ন তোলে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের উচিত মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের হয়রানি এবং ভয়ভীতি ছাড়াই প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এবং নথিভুক্ত প্রকাশ করে তাদের বিচার ও শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে, সরকারের উচিত তদন্ত করা এবং জবাবদিহি করা।

বিবৃতির শেষে বলা হয়, আমরা খান এবং এলানের সাথে দাঁড়িয়েছি এবং সরকারকে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। কারণ তাদের শুধু মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য আটক করা হয়েছে। সরকারের উচিত তাদের দৃঢ় প্রত্যয় ফিরিয়ে আনা এবং নিশ্চিত করা উচিত- তারা যেন কোনো প্রকার ভয় ছাড়াই তাদের মানবাধিকারের নথিপত্র তৈরি এবং রিপোর্টিং চালিয়ে যেতে সক্ষম।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ