• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ অপরাহ্ন

ধোলাইখালে সংঘর্ষ : বিএনপি নেতা সালাম কারাগারে

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৬২ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩

বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার ধোলাইখাল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তার রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত।

একইসঙ্গে মামলায় অপর চার আসামিকে একদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিন, বিএনপি কর্মী কবির, সোহাগ গাজী ও মো. রিয়াজ উদ্দিন রাজু।

রোববার (৩০ জুলাই) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমুর আদালত পৃথক এ আদেশ দেন।

আদালতে সূত্রাপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রনপ কুমার বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর ধোলাইখালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় সূত্রাপুর থানার এসআই নাসির উদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ২৪ নেতাকর্মীকে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০/৪০০ নেতাকর্মীকে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শনিবার ধোলাইখাল গোয়ালঘাট নাসির উদ্দিন সর্দার লেনের মনসুর মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করেন এবং যান চলাচলসহ সাধারণ জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে থাকেন।

বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর রায় চৌধুরী, নিপুণ রায় চৌধুরী ও ইশরাক হোসেনদের অনুমতিবিহীন অবস্থান কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকার জন্য বারবার অনুরোধ করে পুলিশ। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার সময় নিপুণ রায় চৌধুরীর নির্দেশে এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামিসহ আশপাশ থেকে আসা অজ্ঞাতপরিচয় আরও আসামিরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে, কিন্তু অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা বিশৃঙ্খলাকারী আসামিরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেলসহ সঙ্গে নিয়ে আসা প্লাস্টিকের শক্ত পাইপ, কাঠের লাঠি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে আক্রমণ করেন।

একপর্যায়ে সূত্রাপুর থানায় কর্মরত এসআই মো. নাহিদুল ইসলামের ওপর প্লাস্টিকের শক্ত পাইপ, কাঠের লাঠি ও ইট-পাটকেল এলোপাতাড়িভাবে নিক্ষেপ করায় হেলমেট খুলে যায় এবং মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। সরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষার্থে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা এপিসিসহ ঘটনাস্থলে থাকা আসামিদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা উচ্ছৃঙ্খল আসামিরা বিভিন্ন দিক থেকে পুলিশের ওপর হিংস্র ও আক্রমণাত্মকভাবে চড়াও হয়ে ইট-পাটকেল ও একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকেন এবং আশপাশের দোকান ও বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে দোকান ও বাড়িঘরের ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ সরকারি সম্পত্তি, জানমাল রক্ষার্থে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যদের ইস্যু করা অস্ত্র শর্টগানের কার্তুজ ও গ্যাসশেল নিক্ষেপ করে।

মামলার এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন- বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার, বিএনপির সক্রিয় সদস্য মো. মিজানুর রহমান মিজান, সূত্রাপুর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ভিপি মো. জাবেদ কামাল রুবেল, সূত্রাপুর থানার নেতা মজিবুর রহমান, নুরুল আফসার ভূঁইয়া মাসুন, মনির হোসেন, মোখলেছুর রহমান, কাজী শাকিল আহম্মেদ, সৌরভ রাসেল, মো. কামরুল ইসলাম কামির, শাকিল আহমেদ ফয়সাল, হাসান খান প্রদীপ, শাহিন খন্দকার শাহিন, মানিক চন্দ্র দত্ত, মো. মনির হোসেন ব্যাপারী, সবুজ হোসেন ব্যাপারী ও আব্দুল কুদ্দুস মিয়া।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ