• শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ অপরাহ্ন

বুড়িচংয়ে রাস্তার পাশে ঝোপঝাড় থেকে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৩১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আলমীর হোসেন, বুড়িচং

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়ন শ্রীমন্তপুর এলাকায় রবিউল ইসলাম(১৮) নামের এক দোকানের কর্মচারীকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।(১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪)রোববার বিকেলে বুড়িচং থানার নবাগত ওসি আজিজুল হক ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হত্যার অভিযোগের তীর রবিউলের বাকশীমূল শশুড় বাড়ির লোকজন ও ইপিজেড আজমীর স্টোর বাহারের বিরুদ্ধে। সন্ধ্যায় শ্রীমন্তপুর-আনন্দপুর মৌজায় রাস্তার পাশে ফরিদ উদ্দিনের ঝোপঝাড় জায়গা থেকে রবিউলের গলাকাটা মরহদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে বুড়িচং থানা পুলিশ।নিহতের বাড়ি বাকশীমূল ইউনিয়নের পাল্টিরাজাপুর খোরশেদ আলমের ছেলে। জানা যায়,রবিউল ইসলাম কুমিল্লা ইপিজেড সংলগ্ন এলাকার আজমীর স্টোর দোকানের কর্মচারী ছিলেন। পরিবারের সূত্রে জানায়,রবিউল ইসলাম শনিবার রাত ৮টার সময় আজমীর স্টোরের স্বত্বাধিকারী বাহারের নিকট থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসার পথে উক্ত ঘটনাটি ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,রবিউল ইসলাম ছোট বেলা থেকে তার মা নাসরিন আক্তারকে ছেড়ে পালিয়ে যায় বাবা খোরশেদ আলম। তার মা দীর্ঘবছর অপেক্ষা করে হেলাল নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে তখন থেকে পাল্টিরাজাপুর নানা আব্দুল মান্নানের বাড়িতে থেকে বড় হয় রবিউল। নিহত রবিউলের মায়ের দ্বিতীয় স্বামী সৎবাবা হেলাল জানান, তার মাকে বিয়ে করার পর থেকে তাদের ভরণপোষণের দায়-দায়িত্ব আমি নিয়েছি।রবিউল অনেক বছর ধরে কুমিল্লা ইপিজেড সংলগ্ন এলাকা আজমীর স্টোর বাহারের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছে। তিন মাস আগে দোকানের মালিক বাহার এর সাথে বকেয়া টাকা নিয়ে বিছুটা ঝামেলা ছিলো। অপর দিকে রবিউল বিয়ে করে বাকশীমূল গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা আক্তারকে। বিয়ে করার পরে রবিউল জানতে পারে তার স্ত্রীর চোখ সহ বিভিন্ন সমস্যা ছিলো।তাই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ছিলো। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে রবিউল শশুড় মনিরুল ইসলাম বুড়িচং থানায় অভিযোগ করে। নিহতের পরিবার রবিউলের দোকানের মালিক ও শশুড় বাড়ির লোকজন এ হত্যাকান্ডের সাথে রয়েছে বলে দাবী করেন। গাড়ির ড্রাইভিং প্রশিক্ষক রাশেদুল ইসলাম জানান রবিউল তিন মাস আগে বিদেশ যাওয়ার আমার কাছে গাড়ি চালানো শিখতে এসেছিলেন। সে অনেক ভদ্র ছেলে ছিলো। শিক্ষাকালীন সে তার মালিকের কল পেয়ে দোকানে আবার চলে যায়। আজ তার গলাকাটা লাশ জঙ্গলে পাওয়া গেছে। এ বিষয় বুড়িচং থানার এসআই লিটন ঘোষ,এসআই আরিফুল গিয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহে একাধিক আঘাতের চিহৃ ও গলাকাটা দেখতে পায় এবং ঘটনার একটু দূরে একজোড়া জুতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক জানান,আমি সরেজমিনে গিয়েছি। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আইনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ