মোঃ আসাদুজ্জামান আজাদ, শেকৃবি প্রতিনিধি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতাদের ক্যান্টিন ডাইনিং এবং স্টলগুলোতে চাঁদাবাজি এবং বাকি খেয়ে টাকা না দেওয়া একটি নিয়মিত ঘটনা। এবার ছাত্রনেতা থাকা অবস্থায় বাকি খেয়ে শিক্ষক হয়ে যাওয়ার পরেও তা পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ওমর আলি মল্লিকের বিরুদ্ধে।ওমর আলী মল্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। জানা যায় তিনি ছাত্রলীগের নেতা থাকা অবস্থায় প্রায়শই বাকি খেতেন হলের দোকান গুলোতে এবং বিভিন্ন মিছিল মিটিং শেষে তার অনুসারীদেরও বাকি খাওয়াতেন। এভাবেই শেরেবাংলা হলের সামনের দোকানে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা এবং হলের চায়ের দোকানে প্রায় ১০ হাজার টাকা বাকি ছিলো তার নামে। শিক্ষক হয়ে যাওয়ার পরেও দীর্ঘদিন তা পরিশোধ করেননি তিনি।তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যমকর্মী ও বৈষম্যে বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার আঁচ পাওয়ায় তিনি গত মঙ্গলবার (২০আগষ্ট) টাকা পরিশোধ করেন। অথচ এর আগে ভুক্তভোগী তাকে বাকির বিষয়ে জানালেও তিনি তা এড়িয়ে গেছেন বলে জানা যায়।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ওমর আলি মল্লিক বলেন, আমার নামে এত বাকি হয়েছে আমি জানতাম না। রাজনীতি করলে কিছু লোকবল থাকে। তারাই আমার নাম বলে ওখানে খেয়েছে। আমি জানতে পারার সাথে সাথে তাকে টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি।এতদিন পর কিভাবে জানতে পারলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিপন এবং মান্নান ভাই ভয়ে আমাকে কিছু বলেননি আগে। আমি যেহেতু জানতাম না তাই রিপন এবং মান্নান ভাই পরে আমাকে এসে বললেই আমি টাকাটা দিয়ে দিয়েছি।এ বিষয়ে দোকানদার রিপন এবং মান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, অনেকদিনের বাকি ছিলো। মঙ্গলবার সকালের দিকে মল্লিক ভাই আমাদের টাকা দিয়েছেন।