২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য অন্ধকার একটি দিন। এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে ভুটানের কাছে প্রথমবারের মতো ৩-১ গোলে হেরে আড়ালে চলে যেতে হয়েছিল। এরপর একই দলের বিপক্ষে কয়েকবারের দেখায় জয় এসেছিল যদিও। উত্থান-পতনের মধ্যে যাওয়া সেই ভুটান এবারও সামনে। বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে এই ভুটানকে হারাতে পারলেই মিলে যেতে পারে সেমিফাইনালের অঙ্ক! বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শ্রী কান্তীভারা স্টেডিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি হতে যাচ্ছে।
‘বি’ গ্রুপে সেমিফাইনালের হিসাব-নিকাশটা এখন অন্যরকম। লেবানন ৬, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ ৩ এবং ভুটানের পয়েন্ট শূন্য। একই দিন বিকালে লেবানন-মালদ্বীপ ম্যাচও রয়েছে। সেক্ষেত্রে লেবাননের বিপক্ষে মালদ্বীপের হার কিংবা ড্র এবং ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয়ী হলেই কেবল ৬ পয়েন্ট নিয়ে জামালরা সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করবে।
মালদ্বীপ, বাংলাদেশ দু’দলই জয়ের মুখ দেখলে লেবানন, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের সমান ৬ পয়েন্ট হয়ে যাবে। তখন গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকা দুই দল শেষ চারে পা রাখবে। আবার লেবাননের কাছে মালদ্বীপ হেরে গেলে এবং বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচ ড্র হলে তখন ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে বাংলাদেশ। তবে জামালরা যখন খেলতে নামবে ততক্ষণে সমীকরণ পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাই জামাল-তপুদের লক্ষ্য ম্যাচটা জিতে নিজেদের পথটা সুগম করে রাখা।
বাংলাদেশ সর্বশেষ ২০০৯ সালে সাফের সেমিফাইনাল খেলেছিল। দীর্ঘদিন পর সুযোগ হাতের মুঠোয় আসায় সেটি হাতছাড়া করতে চান না কোচ হাভিয়ের কাবরেরা, ‘এটা ভালো সুযোগ সেমিফাইনালে যাওয়ার। সবাই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য দৃষ্টি দিয়েছে। কঠিন প্রতিপক্ষের ওপর বেশি মনোযোগ দেওয়া যাবে।’
বাংলাদেশের জন্য প্রেরণার দিকটি হলো সাফে ৬ বারের দেখায় ভুটানের কাছে কখনও হারেনি তারা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ বারের লড়াইয়ে জয়ের পাল্লাই ভারি। জয় ১০টিতে, ড্র দুটি, হার মাত্র একটি। তবে গ্রুপের যে অবস্থা তাতে বুধবার বিকালে লেবানন-মালদ্বীপ ম্যাচের ফল প্রভাব রাখতে পারে।
বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ অবশ্য ভুটানের বিপক্ষে নিজেদের কাজটি সেরে রাখার ওপর জোর দিচ্ছেন, ‘আগের ম্যাচের ফল দেখে মাঠে নামাটা আমাদের জন্য সুবিধাজনক হবে। তার আগে নিজেদের কাজটি করতে হবে। আমাদের অবশ্যই জিততে হবে, সেই মানসিকতাও থাকতে হবে। আগের ম্যাচের ওপর নির্ভর করাটা ঠিক হবে না। আমাদের নিজেদের ওপর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।’