• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন

বেনাপোল স্থলবন্দরে এক বছরের সরকারি রাজস্ব আয় প্রায় ১২০ কোটি টাকা

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ২৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

মোঃ জাকির হোসেন, বেনাপোল-শার্শা
এক বছরে বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারত ও বাংলাদেশে যাতায়াত করেছেন ২২ লাখেরও বেশি পাসপোর্ট যাত্রী। তাদের মধ্যে ভারতে গেছেন ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪ জন। ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ১০ লাখ ৮০ হাজার ৪৭৪ জন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী যাত্রী যাতায়াতের পরিমাণ বেড়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ৭৮৫ জন। এ সময় ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের আয় হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা। আর ভারত সরকারের আয় ১০০ কোটি রূপিরও বেশি। তবে সরকারের আয় বাড়লেও তুলনামূলক সেবার মান তেমন বাড়েনি বলে অভিযোগ যাত্রীদের। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সেবা বাড়াতে বন্দরে যাত্রী ছাউনির জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ভারত অংশে ইমিগ্রেশনকে সেবা বাড়াতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের অন্যতম বাণিজ্যিক শহর ও পর্যটন কেন্দ্র কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার।যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেশিরভাগ পাসপোর্টধারীরা চিকিৎসা, ব্যবসায়, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে বেনাপোল সীমান্ত ব্যবহার করেন। পদ্মা সেতু ও ট্রেন এ যাত্রা আরও সহজ করেছে বা করবে। তবে বন্দরের সেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টাস অ্যান্ড এক্সপোর্টাস এএসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, বেশি হয়রানির শিকার হতে হয় ভারত অংশে। বিভিন্ন বৈঠকে যাত্রীসেবা বাড়াতে অনুরোধ জানালেও কাঙ্খিত ভাবে সাড়া মেলেনি। বন্দরের দোতলায় যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করলে দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে যাবে। মিজানুর রহমান নামে একজন পাসপোর্টধারী বলেন, ভ্রমণ কর বাড়লেও সেবা বাড়েনি। সেবা নিতে রোদ-বৃষ্টি মাথায় ছয় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আবু সাঈদ নামের আরেক পাসপোর্টধারী বলেন, পদ্মা সেতুর সুবিধায় ঢাকা থেকে চার ঘণ্টায় বেনাপোল আসা যায়। তবে বন্দর ভোর সাড়ে ৬টার পর খোলায় আগের দুর্ভোগ থেকেই গেছে। এখানে টোকেন ও পাঁচশত চেয়ার সিষ্টিম করিলে ভাল হয়। তাহলে দাড়ানো লাগবে না, দালালদের উৎপাতও রয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যাত্রী যাতায়াতের পরিমাণ বেড়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ৭৮৫ জন। যাত্রী সুবিধা বাড়াতে বন্দরে টার্মিনালের জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান। ভারত অংশেও তাদের সেবা বাড়াতে বলা হয়েছে। যাত্রীদের দালাল থেকে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ