মো: রমিজ আলী,
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার অন্তর্গত ৭নং কুমিরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ছোট কুমিরা মাদ্রাসা রোডের ড্রেনের কাজ চলছে ধীরগতিতে। দীর্ঘদিন সময় অতিবাহিত হলেও এই ড্রেনের কাজ সম্পূর্ণ করতে না পাড়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে সাধারণ এলাকাবাসী। এই রাস্তা দিয়ে প্রায় দৈনিক তিন থেকে চার হাজার মানুষের যাতায়াত হয়ে থাকে ।সরজমিনে দেখা যায়,সিরাজ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ২১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকায় এই ড্রেনের টেন্ডারের কাজটি পান। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও এই ড্রেনের কাজটি সম্পূর্ণ করতে না পারাই অল্প বৃষ্টিতে এলাকায় দেখা দেয় বিশাল জলাবদ্ধতা। এতে ড্রেনে জমে থাকা বিভিন্ন পচা আবর্জনার দুর্গন্ধে নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটছে। ফলে অল্প বৃষ্টিতে সড়কে জলাবদ্ধতায় চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।সম্প্রতি ছোট কুমিরা মাদ্রাসা থেকে দাসপাড়া তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৮০০ মিটার এই নির্মাণাধীন ড্রেনটির কাজ বন্ধের দৃশ্য দেখা গেছে।স্থানীয় বাসিন্দা মো. মাহাবুব আলম বলেন, ড্রেনের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় সামন্য বৃষ্টি হলেই পুরো সড়কে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে। একই এলাকার সিএনজি চালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, আমরা যখন যাত্রীদের নিয়ে গাড়ি চালায় তখন আমাদের মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে, গাড়ি উল্টে যাচ্ছে কি? না। ড্রেনের পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে পানি রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এতে করে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ এলাকাবাসী। কারণ ছোট কুমিরা বাজার থেকে শুরু করে পানি অপসারণের একটাই মাত্র ড্রেন আছে, এই ড্রেনের নেই কোন ঢাকনা। এমনকি পানি নিষ্কাশনেরও নেই কোন ব্যবস্থা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব অবহেলার কারণে গত ছয় মাস ধরেও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি।বিশেষ করে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা সাধারণ এলাকাবাসী ও স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের অতিকষ্ট করে জামা কাপড় ভিজে প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হচ্ছে।ধীরগতিতে এই ড্রেনের নির্মাণ কাজ করলেও আজ পর্যন্ত ড্রেনের ভিতর পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনা ও ড্রেনের উপর ঢাকনা দেওয়া হয়নি। ড্রেনে পানি নিষ্কাশনও বন্ধ রয়েছে। সে কারণে বৃষ্টি হলেই ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই ওই এলাকার বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিরাজ এন্টারপ্রাইজ স্বত্বাধিকারী মোঃ রফিক মুঠো ফোনে বলেন,বর্ষার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। আর কিছুদিন পরই চালু করা হবে।এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুফ শামীম বলেন, মাদ্রাসা রোড ড্রেনের কাজ ২১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকায় সিরাজ এন্টারপ্রাইজ টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটা পান কিন্ত দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরে ও কাজ টি সম্পন্ন হয়নি। ঠিকাদারকে ফোন করলে সে আজ, কাল বলে সময় অতিবাহিত করছে।