• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন

শিক্ষা হউক কর্মজীবি মানুষ তৈরীর কল           মনুষ্যত্বের ধারক

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৯৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩

 এস এম আলমগীরচাঁদ 
যতটুকু জানি,মানুষ শিক্ষিত হয় জ্ঞান অর্জনের জন্য।মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য।
কিন্তু এখনকার যুগে মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য। মানুষের দুটি সত্ত্বা।একটি হলো মানবসত্ত্বা বা মনুষ্যত্ব ,আর অপরটি জীবসত্ত্বা।যারা প্রকৃত শিক্ষিত তাদের মধ্যে মানবসত্ত্বা বা মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে এবং তারা শিক্ষাটাকে ভালোভাবে অর্জন করেছে কিংবা আয়ত্ত্বে নিয়েছে। অপরদিকে জীবসত্ত্বা। যারা শিক্ষাটাকে শুধুমাত্র সার্টিফিকেট অর্জনের উদ্দেশ্যে গ্রহণ করে,প্রকৃত শিক্ষিত হওয়ার চিন্তাভাবনা থাকেনা তাদের মধ্যে জীবসত্ত্বার বিকাশ ঘটে। কিন্তু এখনকার যুগে এই জীবসত্ত্বাটাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।এই যুগে মানুষ শুধু মাত্র সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য পড়াশোনা করছে।প্রকৃত শিক্ষিতের হাড় কমে আসছে।কেননা,চাকরি পাওয়ার পূর্বশর্তই হলো টাকা। এখনকার সমাজ ব্যবস্থা উচ্চপর্যায় থেকে নিম্নপর্যায় পর্যন্ত দূর্নীতীতে ভরপুর। এখন আর চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করা হয়না,টাকাকে মূল্যায়ন করা হয়।আর টাকাকেই বা কেন মূল্যায়ন করা হবেনা যারা চাকরি দেবে তারাও যে ঘুষ দিয়েই চাকরি নিয়েছে।তাদের টাকাটা তুলতে হবেনা।সরকারের প্রত্যেকটি সেক্টরে দুর্নীতিতে ভরপুর। ধিক্কার জানাই এই রাষ্ট্র এবং সমাজ ব্যবস্থাকে।দিন দিন বেকারত্বের হাড় বেড়েই চলেছে। পরিশেষে তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই,যারা এই সমাজ বা রাষ্ট্র টাকে পরিচালনা করছেন,একজন গরিব মানুষের ছেলে কিংবা মেয়ে যদি ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি নিতেই পারত,তবে তার চাকরি নেওয়ার কি প্রয়োজন ছিল।শিক্ষিত হওয়ার কি প্রয়োজন ছিল।সে ঐ দশ লক্ষ টাকা দিয়ে ব্যাবসা করে সংসার চালাইত। ১০ লক্ষ টাকা দিতে পারে কারা?নিশ্চয়ই ধনীরা।আর এই সমাজে ধনী ব্যাক্তির ছেলে মেয়েরাই বেশি চাকরি পায়।তার মানে ধনীকে আরও ধনী করা।আর গরিবকে আরও গরিবের দিকে ঠেলে দেওয়া।কেননা গরিবরা টাকা দিতেই পারবে,নাকি চাকরি নিতেই পারবে।টাকা ছাড়া তো চাকরি নাই।এখন আর যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করা হয়না।টাকাকে মূল্যায়ন করা হয়।শুধু টাকা থাকলেই হয়না,মামা খালুও থাকতে হয়।যেটাকে স্বজনপ্রীতি বলা হয় আরকি। হায়রে সমাজ ব্যবস্থা। খুব শীঘ্রই এই দুনীতিতে ভরপুর সমাজ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করা হোক।একটি শান্তির এবং দুনীতিমুক্ত রাষ্ট্র গড়ে তোলা হোক।আমরা চাই শান্তি,সমৃদ্ধি এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি সুশীল রাষ্ট্র।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ