• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন

দাউদকান্দিতে চাঞ্চল্যকর ৩য় শ্রেণীর পড়ুয়া ০৮ বছরের শিশু ধর্ষণের প্রধান আসামী মাওলানা নাছির পাটোয়ারী গ্রেফতার

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৪১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে জঙ্গী, সন্ত্রাসী, খুনী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী ও অপহরণকারী সহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় র‌্যাব স্বল্প সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। ২।গত ০৪ জুলাই ২০২৪ইং তারিখে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন খালিশা এলাকায় ০৮ বছরের এক মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বর্ণিত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দিাদ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০১ টি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৪, তারিখ-০৫/০৭/২০২৪। ধর্ষণের ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হলে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে গত ১১ জুলাই রাতে ঢাকা জেলার হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক মাওলানা নাছির পাটোয়ারী (৪২), পিতা-মৃত আব্দুস সামাদ পাটোয়ারী, সাং-খালিশা, থানা-দাউদকান্দি, জেলা-কুমিল্লা’কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ধর্ষণের ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। ৩।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের পিতা মালেশিয়া প্রবাসী এবং তার মা একজন গৃহিনী। ভিকটিম এবং তার সহোদর ভাই স্থানীয় খালিশা মোহাম্মাদিয়া মিসবাউল উলুম মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী মাওলানা নাছির পাটোয়ারী উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালক। প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন গত ০৪ জুলাই ২০২৪ইং তারিখে ভিকটিম ও তার ভাই মাদ্রাসায় যায়। ঘটনার দিন প্রবল বর্ষণের কারণে মাদ্রাসার অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামী নাছির পরিবারসহ মাদ্রাসার পিছনের একটি বাড়িতে বসবাস করতো এবং ঘটনার দিন আসামীর পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে অনুপস্থিত ছিল। মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের কম উপস্থিতি এবং গ্রেফতারকৃত আসামীর পরিবারের অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসামী নাছির মাদ্রাসার পিছনে অবস্থিত তার বাসা ঝাড়ু দেয়ার জন্য ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম বাসায় প্রবেশ করলে গ্রেফতারকৃত আসামী তার বাসার দরজা লাগিয়ে দেয় এবং ভিকটিমকে তার খাটের উপর নিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে ভিকটিম চিৎকার করলে গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে উক্ত ঘটনা গোপন রাখতে বলে এবং প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বাড়িতে আসার পর ভিকটিমের কান্নাকাটির কারণ ভিকটিমের পরিবার জানতে চাইলে একপর্যায়ে ভিকটিম মাদ্রাসায় ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা বর্ণনা করে। ঘটনার পর গ্রেফতারকৃত আসামী নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যায় এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে সেখানে আত্মগোপন করে। ৪।উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ