স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লক্ষ্মীপুর বর্ডার এলাকায় চোরাকারবারীদের হামলায় মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৬) এক যুবকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (২৯ মার্চ) রাত অনুমান ০১: ৩০ ঘটিকায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন লক্ষীপুর গ্রামে ভারত বাংলাদেশ বর্ডারের পাশে। নিহত জাহাঙ্গীর সদর দক্ষিণ উপজেলার ইছাপুরা গ্রামের সালামত উল্লাহর ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোঃ মুরাদ মজুমদার বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে সদর দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলো সদর দক্ষিণ উপজেলার কানুয়ার মুখ এলাকার শামছুল হকের ছেলে মোঃ ইয়াছিন আরাফাত, একই উপজেলার কমলপুর গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, একই উপজেলার ইছাপুরা গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে আবুল কালাম ও মোঃ গোলাম মোস্তাফার ছেলে বাবু এবং অজ্ঞাতনামা আরোও কয়েজন।
এবিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ) দেবাশীষ চৌধুরী জানান, জাহাঙ্গীর হোসেন নামে একজন যুবকের লাশ উদ্ধার পূর্বক সুরতহালসহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। জাহাঙ্গীর হোসেন হত্যার ঘটনায় তার ছোট ভাই বাদী হয়ে চাজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি আরোও বলেন, গত ২৯/০৩/২০২৩ ইং তারিখ রাত্র ০১:৩০ সময় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন লক্ষীপুর গ্রামে ভারত বাংলাদেশ বর্ডারে চোরাকারবারীদের দুইটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয় সে ঘটনায় জাহাঙ্গীর হোসেন নামের একজন নিহত হয়। জাহাঙ্গীর হোসেন পিতা সালামত উল্লাহ, সাং ইছাপুরা, পোঃ তুলাতলী বেলঘর, থানাঃ সদর দক্ষিণ , জেলা কুমিল্লাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের ছোট ভাই জানান, তার ভাইয়ের সাবেক স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (২৯) পিতাঃ আবুল খায়ের, মাতাঃ শাহিনা আক্তার, সাং ৪৭-ক ভিক্টোরিয়া কলেজ পশ্চিম গেইট মনোহরপুর, পোঃ কুমিল্লাকে ২০০৯ সালে পারিবারিক ভাবে সদর দক্ষিণ উপজেলার ইছাপুরা এলাকার সালামত উল্লাহর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনের বিয়ে করে । বিয়ের পর তাদের দুটি সন্তান হয়। এর পর পারিবারিক কলহের কারণে ২০১৯ সালে মনোয়ারা বেগম তার স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেনকে তালাক দিয়ে একই উপজেলার কানুয়ার মুখ এলাকার ইয়াছিন আরাফাত কে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। মনোয়ারা বেগম ও জাহাঙ্গীর হোসেনের বিবাহ বিচ্ছেদের পর তার বর্তমান স্বামী ও সাবেক স্বামীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত ২৯/০৩/২০২৩ইং বুধবার তারিখ রাত্র অনুমান ০১:৩০ ঘটিকায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন লক্ষীপুর গ্রামে ভারত বাংলাদেশ বর্ডারে এলাকায় চোরাকারবারি ও অজ্ঞাতনামা সদস্যরা মিলে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাই জাহাঙ্গীর হোসেনকে ছুরি চাকু ও লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম করেছে বলে জানা যায়, এতে ঘটনা স্থলে তার মৃত্যু হয়। আমার সন্দেহ হয় আমার ভাইয়ের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম উপরোক্ত আসামীদের দ্বারা আমার ভাইকে হত্যা করিয়েছে এবং সে নিজেও আমার ভাইয়ের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। আমি এঘটনার বিচারদাবী জানাই।