মনিরামপুর(যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের মণিরামপুরে ১৫ নং কুলটিয়া ইউনিয়নের বি,এইচ এম এস নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ঘুষের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ৪র্থ শ্রেনীর ৩ জন কর্মচারীর নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। শনিবার ১৭- ই জুন বিকাল সাড়ে ৪ টায় সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্ণীতি ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গেছে, অত্র বিদ্যালয়ে ৩টি পদে প্রধান শিক্ষক সমিতব বিশ্বাস, সহকারী শিক্ষক অজিত মন্ডল ও সভাপতি হেমন্ত কুমার বৈরাগীর বিরুদ্ধে ৪০লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রাপ্ত ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী হিসাবে ৩ জনকে অফিস সহকারী , নৈশ প্রহরী ও নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগ করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য বিদুৎ বৈরাগী ও এলাকাবাসী জানান- ২৪ শে জানুয়ারী ৩ জন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। গ্রামবাসীর দাবী না মানায় ২৬ জানুয়ারী জেলা প্রশাসক বরাবর ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বরাবর এলাকাবাসীরা লিখিত অভিযোগ করেন।যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকল প্রশাসন এবং অফিস আদালতে দূর্নীতি মুক্ত করার ঘোষনা দিয়েছেন সেখানে স্কুলের নিয়োগে কেনো এতো ঘূষ বাণিজ্য করে ৩জন কর্মচারি নিয়োগ দেয়া হলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট গ্রামবাসীর দাবী এই ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে যে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেই নিয়োগ বাতিল করা হোক। আরো জানান- এ অভিযোগ করার পরিপ্রেক্ষিতে ইউপি সদস্য বিদ্যুৎ বৈরাগীর স্ত্রী অর্পনা বিশ্বাসকে স্কুল চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। খারাপ আচরণ অব্যাহত থাকায় হরিচাঁদ বৈরাগী স্কুলে গিয়ে প্রতিবাদ জানানোর পরেও তাদের মানুষিক নির্যাতন করা বা খারাপ উক্তি করা বন্ধ হয়নি। এছাড়াও নৈশ প্রহরী পদে যাকে চাকুরী দেওয়া হয়েছে প্রনব বিশ্বাস এই পর্যন্ত রাতে ডিউটি করেন না এমনকি রাতে আলো জ্বালানো থাকে না,এবং স্কুলের সামনে গাজাখোরদের আড্ডা হয় বলে জানা যায়। এসব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগীদের পক্ষে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করার পাশাপাশি মানববন্ধন করেছি এবং নিয়োগ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম চললাম থাকবে।