• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন

কাউখালীতে একটি সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য মনিরের আকুতি

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৮৩ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

মো: নাঈম কাজী, কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুররের কাউখালীতে ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব আমরাজুড়ী গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ মনির হোসেন। ৪৬ বছর বয়সী মনির হোসেন পেশায় অটোরিক্সা চালক দীর্ঘ দিন যাবৎ যক্ষা ও লাঞ্চে পানি জমা রোগে শয্যাসয়ী। তাহার তিনটি সন্তান স্ত্রী ও বিধবা মাকে নিয়ে কোন রকমের জীবন যাপন করে আসছে, ৬শতাংশ ভিটে মাটিতে অনেক দিন যাবৎ একটি ছুপড়ী ঘরের মধ্যে মাথা গোজার ঠাঁই হলেও সেই ঘরটিতে টিনের চালে মরিচা পরে নষ্ট হয়ে গেছে এবং চার পাশের বাঁশ-কাঠের বেড়াগুলো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে পরে আছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভিজে যায় অসুস্থ মনিরের বিছানা ও ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র তার সাথে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ের বইপত্র। অনেক সময়ে বৃষ্টির কারণে পলিথিনের কাগজ পেচিয়ে থাকতে হয় তাদের পরিবারের সকলকে যার ফলে মানবতার জীবন যাপন করে আসছে মনির ও তার পরিবার। এদিকে অসুস্থ মনির শারীরিক সমস্যার কারণে আগের মতো কোন কাজ কর্ম না করতে পারায় তার পরিবারের ঠিক মতো খেতে ও পরতে দিতে এবং ভাঙ্গাচুরা ঘরটি ও মেরামত করতে পারছে না। আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও মনিরের ছোট্ট বড়ি আমরাজুড়ী যাও।আশ্রায়ন প্রকল্পের শত শত ঘর নির্মান করা হলেও মনিরের ভাগ্যে জোটেনি একটি সরকারি ঘর। তাই একটি সরকারি ঘর পেতে আকুতি জানিয়েছে অসহায় মনির ও তার পরিবার। এবিষয়ে আমরাজুড়ীর সাবেক ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান আগে সরকার যার জমি আছে ঘর নেই তাদেরকে ঘরের ব্যবস্থা করে দিতেন এখন সরকার আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় আনার কারণে মনির ও তার পরিবারকে সাহায্য করা সম্ভব হয় নাই।এব্যপারে আমরাজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন আমি বিষয়টি শুনছি। বর্তমানে সরকার আশ্রায়ন প্রকল্প চালু করায় যার জমি আছে ঘর নেই এ প্রকল্প আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে পাই নাই। এখন চেষ্টাকরে দেখবো সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা থাকলে তার ব্যবস্থা গ্রহন করবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ