জাহিদ,মনিরামপুর(যশোর)প্রতিনিধি
যশোর মনিরামপুর উপজেলার কাশিমনগর ইউনিয়নে ইত্যা গ্রামে, শত বছরের গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ঐতিহ্য খেলা দেখতে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে সব বয়সের হাজার হাজার মানুষ। এ খেলাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা জুড়ে আনন্দ ও উৎসবে মেতে উঠে উৎসুক জনতা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধারণ করতে উপজেলার কাশিমনগর ইউনিয়নের ইত্যা গ্রামবাসীর উদ্যোগে মোল্লাপাড়া মাঠে ১৪ই জুন ২০২৩ তাং বিকালে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আশে পাশে উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলার হতে আগত ঘোড়া এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বিকেলে মাঠে চতুরদিকে বসে হাজার হাজার দর্শক এ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন।মাছনা খানপুরে গ্রামের মহালদার পাড়ার হাদিউজ্জামান মিন্টু বলেন আমাদের এলাকায় ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা ছোট বেলায় হতে দেখেছি কিন্তু এলাকার কৃষি জমি গুলো বেশির ভাগই মৎস ঘের করেছে এজন্যে ঘোড়া দৌড়ের সেই সুযোগ আর নাই সেজন্যে আমি অনেক দুর থেকে ঘোড়া দৌড় দেখতে এসেছি। ইত্যা গ্রামের রফিক হোসেন বলেন বাংলার এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমাদের এলাকায় কয়েক বছর যাবত এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন করার দাবি জানাচ্ছি। আরেক দর্শক আরেফিন এবং আফজাল বলেন, ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। আমরা আশা করবো এ ঐতিহ্য যেন ধরে রাখা হয়। ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা মানুষ পছন্দ করে বলেই আজও হাজার হাজার মানুষ খেলাটি উপভোগ করেন। ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ১৪ বছর বয়সের ইভান বলেন, আমি দুই তিন বছর যাবত ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেই। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আমার খুব ভাল লাগে। এ পর্যন্ত আমার আমি অনেক পুরস্কার পেয়েছি। ঝিকরগাছা উপজেলার অপর প্রতিযোগী মাসুদ বলেন, ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আয়োজকদের পাশাপাশি আমাদেরও অনেক টাকা খরচ হয়। দূর দূরান্তে ঘোড়া গাড়ি ভাড়া করে নিতে হয়। এছাড়াও ঘোড়া লালন পালনের খরচতো আছেই। তার পরও আমার দাবি এ ধরনের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা যাতে বার বার আয়োজন করা হয়। তাহলে আমাদের ঘোড়া লালন পালন ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আমাদের আগ্রহের সৃষ্টি হবে। ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অবসর প্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কল্যান সংস্হা (অসকস) মনিরামপুর উপজেলার উপদেষ্টা সিনিয়ার ওয়ারেন্ট অফিসার ইউনুছ আলী(অবঃ) এবং মনিরামপুর উপজেলার অবসর প্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কল্যান সংস্হা (অসকস) সাধারন সম্পাদক জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলার সংস্কৃতি ধরে রাখতে হলে প্রতিটি এলাকায় এ ধরনের ঐতিহ্যবাহী খেলার আয়োজন করা খুবই প্রয়োজন। আমাদের নিজ নিজ এলাকাতেও আগামীতে এ ধরনের খেলার আয়োজন করবো। ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন অঞ্চলের ১৫-২০টি ঘোড়া অংশ নেয়।