• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ অপরাহ্ন

ফরিদপুরের ধালার মোড় পদ্মার পাড়ে সপ্তম ঘরে উৎসব

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ১১৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় শনিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৪

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
“চলো হারাই শৈশবে”- শ্লোগানকে সামনে রেখে ফরিদপুরে পদ্মা নদীর তীর ধলার মোড়ে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণিল ঘুড়ি উৎসব। বর্ণাঢ্য এই উৎসবে যোগ দেন বিভিন্ন বয়সী হাজারো মানুষ।আকাশে উড়ছে এক সুতয় শত ঘুড়ি,হাজারি গোলাপ, ড্রাগন, কংকাল, সাপ, স্টার, চিল. বাদুর, অক্টোপাস, বক্সসহ বাহারি রং ও আকৃতির ঘুড়ি। নীল আকাশকে বর্ণিল করে তোলা এই পদ্মার তীরে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে বিভিন্ন বয়সের হাজারো মানুষ। ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করেছে “ফরিদপুর সিটি পেইজ” নামের একটি সামাজিক সংগঠন।এ উৎসবে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় দুই হাজার প্রতিযোগি বিভিন্ন আকৃতির ও রঙ্গের ঘুড়ি নিয়ে অংশ নেয়। আর এ উৎসব দেখতে পদ্মা নদীর তীড়ে জড়ো হয় বিভিন্ন বয়সের হাজারো দর্শনার্থী। বড়দের সঙ্গে ঘুড়ি উঠানো দেখতে আসে অনেক শিশু-কিশোররাও।এই বর্নাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধন করেন, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। এসয় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম ।উৎসব শেষে প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ১০ জনকে পুরষ্কার দেয়া হয়। প্রথম স্থান অধিকার করেন হাজারী গোলাপ নামের মোঃ ইমরুল হোসেনের ঘড়ি। ঘুড়ি প্রেমিকরা বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেন।শৈশবের ভালো লাগা এই গ্রামীন ঐতিহ্য দেখতে আশা দর্শনার্থীরা জানান…অনেক ভাল লাগছে। ঘুড়ি উড়াচ্ছি, শৈশবে ফিরে গেছি মনে হচ্ছে। এধরনের আয়োজন মাঝে মাঝে হওয়া দরকার আছে।উৎসবের আয়োজক সংগঠনের সম্নয়কারি (ফরিদপুর সিটি পেজ) এমদাদুল হাসান বলেন,বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে ও আমাদের বর্তমান প্রজন্ম আগামী প্রজন্মের সাথে মিলন ও বন্ধুত্ব ঘটানোর জন্য আমাদের আয়োজন। এই আয়োজনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম ও আগামী প্রজন্মের মধ্যে মিলন ও বন্ধেনের সৃষ্টি হবে। ঘুড়ি আমাদের বাঙ্গালীদের ঐতিহ্য, আর এটাকে সারা বিশ্বের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই এ আয়োজন।উৎসবের উদ্ভোদক ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসন তালুকদার বলেন, এ ধরনে উৎসব আমাদের তরুন ও যুবসমাজকে মাদক ও অপরাধ প্রবনতা থেকে দুরে রাখবে। তাদের প্রতি আজকের আহবান মোবাইলে আসক্তি থেকে বিরত থেকে এ ধরনে কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার ।এদিকে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় ধলার মোড়। বিভিন্ন বয়সী ‌ লোকজনের সমাগমে উক্ত স্থানটি মুখরিত হয়ে ওঠে। উৎসবের পাশাপাশি তারা সংগ্রহ করেন বিভিন্ন রকমের ঘুড়ি। দর্শকরা আশা করেন প্রতি বছরই এ ধরনের উৎসব হবে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ