• বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন

ভূমি অধিগ্রহণের চেক বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ১৯ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মাহমুদুল হাসান মুক্তা ,জামালপুর
জামালপুর রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের চেক বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন মৃত খন্দকার ইলিয়াস মোর্তুজার স্ত্রী ভুক্তভোগী রুনা আলম। তিনি তার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ওই ওভারপাসের জন্য অধিকৃত জমির কোনো টাকা পাননি। জমির অন্যান্য ওয়ারিশের কাছে অধিকৃত জমির চেক বিতরণ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে এ অনিয়মে জড়িতদের শাস্তিসহ ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের মৃধাপাড়ায় নিজ বাসভবনে ভুক্তভোগী ওই নারী সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে মৃত খন্দকার ইলিয়াস মোর্তুজার স্ত্রী ভুক্তভোগী ওই নারী রুনা আলম বলেন, আমি ২০২২ সালের ২১ জুন তারিখে (এলএ কেস নং ১৫/২০২১-২২) শহরে জামালপুর রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণ পাবার জন্য আপত্তি দাখিল করি।

অধিগ্রহণকৃত ভূমির ৮৩৭৮ নং দাগে ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর তারিখে ১৩৯১ নং দলিলমূলে আমি ৩ শতাংশ ভূমির মালিক হওয়ায় জামালপুরে দায়িত্বরত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন আমার আপত্তিটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করেন। এরপরেও আমি জামালপুরে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে (মোকদ্দমা নং ৫৬/২০২৪) বাটোয়ারা ও বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ ১ম আদালতে (২৭৫/২০২৪ নং) অন্যপ্রকার মোক্কদমা দায়ের করি।

অধিগ্রহণকৃত ৮৩৭৮নং দাগটি একটি ইজমালি সম্পত্তি, যার কোনোপ্রকার রেজিস্ট্রি বন্টননামা নেই এবং এ বিষয়ে দুইটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।

এমতাবস্থায় জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে আমাকে না জানিয়ে এবং আমার নাদাবি ছাড়া, আমার সকল প্রকার বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গত ২৯ আগস্ট আমার বিবাদীপক্ষ খন্দকার কে এম সুলায়মান গং, খন্দকার ফারুক আহমেদ, খন্দকার রেজাউল করিম, খন্দকার এনায়েতুল কিবরিয়া ও খন্দকার খালিদ খুররম গংকে সমস্ত ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করেন।

তিনি বেআইনিভাবে চেক বিতরণের কাজে জড়িত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে অধিগ্রহণকৃত ভূমি হতে প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের দাবি করেন।

এ বিষয়ে জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মাহবুব হাসানের কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা কোনো একক সিদ্ধান্তে হয়নি। আমাদের লিখিত একটা রায় হয়েছে। রায়টা ডিসি স্যার, রেভিনিউ স্যার এবং সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাদের সম্মিলিত একটা আদেশ হয়েছিল। ওই আদেশের ভিত্তিতেই চেক বিতরণ করা হয়েছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ