মোঃ ইব্রাহীম মিঞা,বিরামপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি
বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী ফেস্টুন,ব্যানার নিয়ে একই পদে নিয়োগকৃত দুই শিক্ষকের মধ্যে পরে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে।
রবিবার (২৫ আগষ্ট) বিরামপুর উপজেলার মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আদালত কর্তৃক ঘোষিত রায়সমূহকে কোন তোয়াক্কা না করে, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সহিত যোগসাজসে ভয়ংকর দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস ও শিক্ষার্থী হ্রাসের কারণে শিক্ষক মামুনুর রশিদকে বিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী,অভিভাবকগণ ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন এবং প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা অটো রিকশা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্কুল কমিটির সভাপতি নুজহাত তাসনিম আওনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি সূত্রে জানাযায়,মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শুণ্যপদে ১০১/৯১ নম্বর স্বারক মূলে আব্দুল খালেককে ১৯৯১ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয় এবং প্রধান শিক্ষক না থাকায় তিনিই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক বহাল থাকা অবস্থায় স্কুল কর্তৃপক্ষ একই পদে ২০১৯ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মামুনুর রশীদ নামে একজনকে নিয়োগ করেন। একই পদে পরে নিয়োগ প্রাপ্ত মামুনুর রশীদ প্রভাব বিস্তার করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বও হাতিয়ে নেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থাকাকালে বিভিন্ন অনিয়ম, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে অসদাচরণ ও শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক আদালতে মামলা করেন এবং ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারী তার স্বপক্ষে আদেশ হয়। তখন থেকে আব্দুল খালেক পুন:রায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব নেন। কিন্তু সম্প্রতি পরে নিয়োগ প্রাপ্ত মামুনুর রশীদ আবারো স্কুলে বহালের জন্য বিভিন্ন ভাবে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে শিক্ষক মামুনুর রশীদকে যাতে আর বিদ্যালয়ে বহাল না করা হয় সে লক্ষ্যে স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ স্কুলের সামনে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।এসময় বক্তব্য রাখেন, অভিভাবক সুমি আক্তার,জহির উদ্দিন মন্ডল , লিপি আরা বেগম এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী বৃষ্টি এবং ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মিশুপ্রমূখ।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে শিক্ষক মামুনুর রশিদ এর অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে।
এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্কুল কমিটির সভাপতি নুজহাত তাসনীম আওনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন আদালতের রায়ে মামুনুর রশিদ বহাল রয়েছে তবে আব্দুল খালেক আদালতের মাধ্যমে রায় বাতিল করার পরে বিষয়টি আদালতের চুড়ান্ত রায়ের মাধ্যমে সমাধান হবে। এছাড়াও শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।