মোঃ আশরাফুল ইসলাম, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি বাজারে সুদ ব্যবসায়ী রাকিবুল হাসান জানির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছন ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তারা বলেন, সাবেক মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড় জজ কোর্টের পিপি আমিনুর রহমান এর দাপটে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে সুদের টাকা আদায়, টাকা দেওয়ার পর চেক, স্টাম্প ফেরত না দিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়া, তার কথা না শুনলে মামলা করে আসামী করা ও বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকির প্রতিবাদে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সুদের ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে জানি। যারা তার কাছে টাকা নিয়েছিলো সকলের কাছেই সে কয়েকগুণ টাকা, জোর করে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে । বক্তব্যে আব্বাস আলী বলেন, ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা সুদের উপরে নিয়েছিলাম। ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা শোধ করেছি৷ কিন্তু চেক, স্টাম্প ফেরত না দিয়ে সে আমার নামে মামলা করে। এরপর আরো ৫১ শতক জমি তাকে রেজিস্ট্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছি। বক্তব্যে গোলাম রব্বানি বলেন, ২০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছি। কিন্তু চেক ও স্টাম্প না দিয়ে, জমির জন্য হুমকি দেয় জানি। পরে ১.৭৫ শতক জমি লেখে দিতে বাধ্য হয়েছি। চকপাড়া গ্রামের খোকেন্দ্রনাথ বলেন, ৬০ হাজার টাকা নিয়ে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দিয়েছি। চেক, স্টাম্প জিম্মি করে পরে ২৪ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছি। বক্তব্যে সাবিরুল ইসলাম বাবু বলেন, ৭০ হাজার টাকা নিয়ে ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা দিয়েছি। চেক, স্টাম্পের কারণে পরে আবার ২.৫০ শতক জমি লেখে দিতে বাধ্য হয়েছি। বক্তব্যে ফজলুর রহমান বলেন, ১ লক্ষ টাকা নিয়ে ১৩ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছিলাম। এরপরও তার হুমকি কারণে ১ শতক জমি লেখে দিতে বাধ্য হয়েছি। বক্তব্যে তোয়াবুর রহমান বলেন, ১ লক্ষ টাকা নিয়ে ৩ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেও ১৮ শতক জমি লেখে দিতে বাধ্য হয়েছি জানি’কে। পাচঁশতাধিক লোকের উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগীরা রাকিবুল হাসান জানিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তাদের অতিরিক্ত টাকা ও জমি ফেরতের দাবী জানান। উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৬ আগস্ট বোদায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে অভিযোগও দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।