• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

ধুনটে যুবলীগ নেতাকে হত্যা: প্রতিপক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৩৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০২৪

মুঞ্জুরুল হক, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার ধুনটে আল আমিন (২৫) নামের এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার চরধুনট গ্রামের ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় তার উপর হামলার ঘটনা ঘটে। ৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার ভোরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। যুবলীগ নেতা আল আমিন পৌর এলাকার ওই গ্রামের ভুলু মিয়ার ছেলে। সে সম্প্রতি যুবলীগের সম্মেলনে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক (প্রস্তাবিত) হিসেবে স্থান পেতে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শেখ মতিউর রহমান।জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে পৌর যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষে একই এলাকার প্রতিপক্ষ গ্রুপের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় আল আমিনের। পরে সেই বিরোধের জেরে আল আমিন প্রতিপক্ষ গ্রুপের দুইজনকে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় আল আমিন সহ ৬ জনকে আসামি করে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন। সে মামলায় ৫ জন বর্তমানে জামিনে আছে ও আল আমিন পলাতক ছিলেন। জানা যায়, ঘটনার দিন বুধবার সন্ধ্যা দিকে আবু হানিফ নামে এক ব্যবসায়ীর সাথে নিজ বাড়ি হতে আল আমিন মোটরসাইকেল যোগে শহরের দিকে রওনা হন। পথিমধ্যে ইছামতি ব্রীজের কাছে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন মোটরসাইকেল থামিয়ে আল আমিনকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে চলে যায়। তখন সাথে থাকা আবু হানিফ ঠেকাতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে আল আমিনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। আর আবু হানিফ বর্তমানে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। সে একই এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে। এদিকে আল আমিনের মৃত্যু খবর শুনে তার পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়রা মিলে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিপক্ষের একজনের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। সেই আগুনে পুড়ে ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ও এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মবিরতির ফলে সহিংসতা আরো বাড়বে বলে ধারণা করছে অনেকে। স্থানীয় অনেকের ধারণা করছে উপজেলা যুবলীগের কমিটি গঠন কে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান জানান, আল আমিন নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা শুনেছি। তার মৃতদেহ ময়না তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ