• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ অপরাহ্ন

আগুন জ্বালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ২৯ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

প্রসেনজিত দাস ,কুবি প্রতিনিধি

সারাদেশে কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিচার এবং কোটা সংস্কারের একদফা দাবিতে আগুন জ্বালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বস্তরের অন্তত ১০ হাজার সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ফলে রাস্তার দুইপাশে অন্তত ৮ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মহাসড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত অবরোধকারীদের কয়েকজন শহরের অভিমুখে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পুলিশের গাড়ি ও মোটর সাইকেলে ভাঙচুর করে। পুলিশ জানিয়েছে, ভাঙচুর করা গাড়িটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ব্যবহৃত গাড়ি।মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশের সকল সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লাঁটিসোটাসহ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হয়ে সেখান থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে কোটবাড়ি হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে রাস্তার পাশের বাড়ি, দোকান থেকে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পানি সরবরাহ করা হয়।সড়েজমিনে দেখা যায়, মহাসড়ক অবরোধ করেই পুলিশ দেখে উত্তপ্ত শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং পুলিশকে ভুয়া ভুয়া বলে ধাওয়া করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ পিছু হটার এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশদের লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশও রাবার-বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এখন প্রতিবেদন লেখা অবধি শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান করছেন।এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের, তুমি কে, আমি কে, রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার, আমার সোনার বাংলায়, কোটা প্রথার ঠাঁই নাই, জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’,সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, লড়াই করো একসাথে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুর আরেকবার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।আন্দোলনরত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে আমরা ছাত্রসমাজ জড়ো হয়েছি। আমার ভাইদের উপর হামলা করা হলো কেন? এর কঠোর বিচার চাই। কোটা বাতিল না হলে আমাদের এই আন্দোলন থামবে না।’ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের রেদোয়ান বলেন, ‘ছাত্রলীগ গতকাল যেভাবে সারাদেশে নৃশংস হামলা চালিয়েছে এটা আমরা কোনভাবেই মেনে নিবো না। তাদেরকে হামলা প্রতিহত করতেই আজ লাঠি নিয়ে মহাসড়ক করেছি।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারজানা ইসলাম বলেন, আপনারা জানেন, ‘গতকাল ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা মেয়েদেরও ছাড় দেয় নাই। কতটা নিকৃষ্ট হলে এরা এমন কাজ করতে পারে৷ এই হামলার বিচার না হওয়া অবধি আমরা রাজপথ ছাড়বো না’অবরোধের ফলে রাস্তায় যানজটের বিষয়ে হাইওয়ে ময়নামতি ক্রসিং থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, ‘ যানজট শুধু বাড়ছেই। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার যানজটের খবর পেয়েছি।’এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যতক্ষন ক্যাম্পাসে ছিল ততক্ষণ আমরা কন্ট্রোল করতে পেরেছি। অনেক বহিরাগত ঢুকছিল ক্যাম্পাসে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছি। তখন তাদের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয় আমাদের। এখন তারা মহাসড়কের দিকে যাচ্ছে। আমি পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলেছি। শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ কোন নাশকতামূলক কাজ যেন তারা না করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ