• মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তার চরাঞ্চলে দুর্যোগ সহনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাম বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র গড়তে কাজ করছে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ১০১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪

মোঃ আবু জাফর মন্ডল,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তার চরাঞ্চলের দুর্যোগ সহনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাম বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র গরার লক্ষে (এসএলসিআর ডিসিআর) প্রকল্পটি ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন এবং পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং স্থানীয় জনগণকে সচেতন বা দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন সচেতনামূলক প্রশিক্ষণ, প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বন্যাকালিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু রাখা, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের সচেতন করতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে মুসলিম এইড- ইউকের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে নির্মাণ, সংস্কার এবং মেরামত হচ্ছে। এদিকে উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা চলাকালিন ওইসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। সে কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। বিশেষ করে উপজেলার মহিষবান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেলকা বটতলা দাখিল মাদরাসা, হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে,নাজিমাবাদ বিএল উচ্চ বিদ্যালয় ও কাশিমবা উচ্চ বিদ্যালয় সমূহে বিশুদ্ধ পানি, ল্যাট্রিন, বিদ্যুৎ বা উপজেলা দাতা সংস্থা এইড-ইউকের অর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় (এসএলসিআর ডিসিআর) প্রকল্পে ইতিমধ্যে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান উপযোগী শ্রেণিকক্ষ, অফিস কক্ষ, ল্যাট্রিন, নলকূপ, ওয়াশ রুম, বাউন্ডারি ওয়াল, স্কুলে যাওয়া আসার রায়, বিদ্যুৎ বা সোলার প্যানেল ব্যবস্থা, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, শিক্ষকও। শিক্ষার্থীদের বলার, চেয়ার টেবিল, বেঞ্চ মেরামতের কাজ করছে।মহিষবান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোসলিম আলীর ভাষ্য, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে মুসলিম এইড- ইউকের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় সংস্থাটি প্রকল্প চরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ দুর্যোগ সহনীয় করতে শ্রেণিকক্ষ,ল্যাট্রিন,ওয়াশরুম নির্মাণ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্কুল কমিউনিটিকে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় এসব কর্মকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় কমিউনিটিকে অনেকটা সহায়তা করবে। চরের সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে দুর্যোগ সহনীয় করে কাজ করার দাবি জানান তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মমিন মন্ডল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ