• বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নদী তীরবর্তী এলাকার কৃষকদের মাঝে বাড়ছে তামাক চাষ

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৯৬ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

মোঃ আবু জাফর মন্ডল,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বেড়েই চলেছে তামাকের চাষ। এলাকার কৃষকেরা নিজের ও পরিবারের স্বাস্থ্যর জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর জেনেও বেশি লাভের আশায় পরিবেশ দূষণকারী এ ফসল চাষ করছেন তারা। তবে তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করে লাভজনক ও পরিবেশ বান্ধব ফসল চাষের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার করতোয়া, বাঙ্গালী ও কাটখালী নদী তীরবর্তী চর এলাকায় প্রতি বছরই বেড়েই চলেছে তামাক চাষ। যে সব জমিতে আলু, ধান ও ভুট্টার চাষ করে ব্যাপক ফলন পেলেও দাম ভাল না পাওয়ায় কৃষকরা এ সব ফসল চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এ ছাড়াও আলু ভুট্টার সহ বেশ কিছু ফসলের বাজার মূল্য নির্ধারণ নেই। এ ছাড়াও ভুট্টা নির্ভর কোন শিল্প কারখানা গড়ে না ওঠায় প্রতিবছরেই ভুট্টা চাষে নানা সমস্যায় পড়তে হয় কৃষকদের। পাশাপাশি আলু ভুট্টার দাম ওঠা-নামা করায় আর্থিক ভাবে লোকসানের মুখেও পড়ে এ সব ফসল চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। পক্ষান্তরে তামাক কোম্পানিগুলোর লোভনীয় অফারেও বাড়ছে বিষবৃক্ষ তামাকের চাষাবাদ। ঋণ ও বিনামুল্যে বীজ, সার-কীটনাশনক সরবরাহ করে কোম্পানির কর্মীরা। কর্মকর্তারা নিয়মিত চাষীদের মাঠ পরিদর্শন করে পরামর্শ ও ক্রয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। যে কারণে তামাক কোম্পানীর ওপর আশ্বাস্থা রেখে তামাক চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। বিক্রির নিশ্চয়তা ও স্বাচ্ছন্দতা পেয়ে তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষীরা।এবার উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের গোসাইপুুর, মারিয়া, সাতানা বালুয়া, রহলা, বগুলা গাড়ীসহ হরিরামপুর, নাকাই, রাখালবুরুজ, তালুুককানুপুর, ফুুলবাড়ী, সাপমারা সহ বেশ কিছু ইউনিয়নে ব্যাপক তামাক চাষা হয়েছে।গোশাইপুর এমদাদুল মিয়া বলেন, তামাক পাতা বিক্রির সময় হলে নিজস্ব পরিবহণে চাষীর বাড়ী থেকে অথবা নির্দিষ্ট স্থান থেকে তামাক কোম্পানীর কর্মকর্তারা তামাক ক্রয় করে। আর তামাকের মূল্য পরিশোধে চাষীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাব নম্বরে তামাকের টাকা পরিশোধ করে। তবে দু-এক জন কৃষক পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সচেতন। তারা আবার আগে তামাক চাষ করলেও বর্তমানে ক্ষতির কথা বিবেচনা করে তামাক চাষ বন্ধ করে অন্যান ফসল চাষ করছেন। তবে উপজেলায় তামাক চাষ বাাড়লেও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে এ ব্যপারে কোন তথ্য জমা নেই।গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করে ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল চাষে উৎসাহিত করার জন্য উপজেলা কৃষিবিভাগ সব্বোর্র্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার পরেও টোব্যাকো কোম্পানী গুলির লোভনীয় আশ্বাস ও সুযোগ সুুবিধার কারণে তামাক চাষ ঠেকানো যাচ্ছে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ