• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন

উপাচার্যের দখলদারিত্ব থেকে গেস্ট হাউজ মুক্ত করতে কুবি শিক্ষক সমিতির চিঠি

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৭৬ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কুবি প্রতিনিধি:
রাজধানীর কমলাপুরে ক্রয়কৃত প্রশাসনিক ব্যবহারের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গেস্ট হাউজটি আগামী ১ মার্চের মধ্যে উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈনের ব্যক্তিগত অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করে কুবি’র পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে চিঠি দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রার বরাবর শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।উক্ত চিঠিতে বলা হয়, শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করে থাকে। গত দুই বছর শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম না থাকার সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন তার নিজস্ব ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর আবাসন এবং জরুরী প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্রয়কৃত গেস্টহাউজ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করে আসছেন। এ সময় পর্বে বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনে বা ব্যক্তিগত কারণে গেস্টহাউজ ব্যবহার করতে চাইলে তিনি তাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের দুর্ব্যাবহার করেন।চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গেস্টহাউজ তত্ত্বাবধানের জন্য নিয়োজিত কর্মচারীকেও ঢাকাস্থ গেস্টহাউজ থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যাহার করে মাননীয় উপাচার্য নিজে গেস্টহাউজের চাবী হস্তগত করে এটিকে ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করেছেন। উপরন্ত বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট নয়, এমন ব্যক্তিদের ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বসবাস করার অনুমতি দেন। যে ভবনে গেস্ট হাউজটি অবস্থিত, সেখানকার লগবই, গেস্টহাউজ এর লগবই এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ সম্পর্কিত সকল তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা সম্ভব। উল্লেখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ক্রয়কৃত ঢাকাস্থ গেস্টহাউজটির আবাসন সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অফিসিয়াল বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারছেন না।আরো বলা হয়, এভাবে উক্ত গেস্টহাউজের ব্যক্তিগত দখলদারিত্ব ও অপব্যবহরের ফলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুষমভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের ০৭ (সাত) নম্বর ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে আগামী ০১ মার্চ ২০২৪ তারিখের মধ্যে অবিলম্বে ঢাকাস্থ গেস্টহাউজকে মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী পর্যাপ্ত লোকবল ও সুযোগসুবিধাসহ শিক্ষক- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহারের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) তৎকালীন উপাচার্য ড. মো. আলী আশরাফের সময়ে রাজধানীর কমলাপুরে গেস্ট হাউজটি ক্রয় করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ