• রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ অপরাহ্ন

কাজে আসছে না ৭ কোটি টাকার সেতু

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৯১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

রাশিমুল হক রিমন, বরগুনা প্রতিনিধি:
টেংরাগিরি ইকোপার্কের প্রবেশ পথে খালের ওপর দাঁড়িয়ে আছে একটি সেতু। সেতুর দুই অংশের কাজ শেষ হলেও মাঝের অংশের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ফলে পর্যটকদের নৌকায় করে পার্কে প্রবেশ করতে হয়। প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতু কোনো কাজে আসছে না। এ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ইকোপার্কে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের টেংরাগিরি বনের সেতুটির কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ। এমন ভোগান্তির কারণে পর্যটকরাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।সরেজমিনে দেখা যায়, পার্কে প্রবেশ করতে ও সমুদ্রসৈকতের কাছে যেতে হলে খালের ওপরে একটি সেতু পার হয়ে যেতে হয়। প্রায় ৩ বছর আগে শুরু হওয়া ওই সেতুর কাজ এখনো শেষ হয়নি। দুই অংশের কাজ শেষ হলেও মাঝের অংশ ফাঁকা। ফলে পর্যটকরা বিকল্প পদ্ধতিতে বনে প্রবেশ করেন। ছোট একটি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হন তারা। জনপ্রতি ১০-২০ টাকা অথবা ৩০ টাকা করে ভাড়া নেন মাঝিরা।তালতলী উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ফকিরহাট খালের ওপর সোনাকাটা ইকোপার্কের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭২ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৭ মিটার প্রস্থের একটি গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। বরিশালের আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ২০২১ সালে কাজ শুরু করে তারা। প্রতিষ্ঠানটি ১ বছরে সেতুর দুই পারের ৪৮ মিটার অ্যাবাটমেন্ট কাজ শেষ করে। মাঝখানের ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যের ১টি স্প্যান বাকি থাকা অবস্থায় ২০২২ সালের প্রথম দিকে উচ্চতা কম হওয়ায় প্লানিং কমিশন ও স্থানীয় জেলেদের আপত্তির কারণে মাঝখানের ২৪ মিটার স্প্যান নির্মাণের কাজ প্রায় ২ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আমির ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলেও প্রতিষ্ঠানটির মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।পর্যটকরা বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়।তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। তবে এ বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি।তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার টুম্পা বলেন, এই সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পরে উচ্চতা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এর কারণে সেতুর নিচ দিয়ে ট্রলার বা নৌকা যেতে পারবে না। এরপর ওই ব্রিজের কাজ বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল। নতুন করে আবার সেতুর হাইট বাড়িয়ে রি-এস্টিমেট করে পাঠানো হয়েছে। নতুন করে রি-এস্টিমেট পাস হলে কাজ শুরু হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ