ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি:-
নানা জল্পনা- কল্পনা অবসান ঘটিয়ে নওগাঁ-২ (ধামইরহাট ও পত্নীতলা) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এরইমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।উল্লেখ্য যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আট দিন আগে গত ২৯ ডিসেম্বর নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক মারা গেলে ঐ আসনের নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।পরবর্তীতে গত ৮ জানুয়ারি এই আসনের নির্বাচনের নতুন তফসিল ঘোষণা করে ইসি। নতুন তফশিল অনুযায়ী আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।জানা গেছে, নির্বাচনে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. শহীদুজ্জামান সরকার (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আখতারুল আলম (ট্রাক প্রতীক), জাতীয় পার্টি মনোনীত এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন (লাঙ্গল প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী মাহমুদ রেজা (ঈগল প্রতীক)।উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ধামইরহাট উপজেলায় আট ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৮ হাজার ৩০১ জন, মহিলা ৭৮ হাজার ৭১৩ ও তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন। ধামইরহাটের বিভিন্ন কেন্দ্রের নির্বাচনে ৫৩ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৩০৪ জন সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৬০৮ জন। এবং ৫৩টি ভোট কেন্দ্রে স্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ২৯১ এবং অস্থায়ী ১৩টি। ভোটের দিন পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে ৯ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।এদিকে পত্নীতলা উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ১১৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৯৯ হাজার ২৭১ এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৯৯ হাজার ৮৪৬ জন।পত্নীতলা উপজেলায় বিভিন্ন কেন্দ্রের নির্বাচনে ৭১ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৪০২ জন সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৮০৪ জন। এবং ৭১টি ভোট কেন্দ্রে স্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪০২ এবং অস্থায়ী ২৮টি। ভোটের দিন ১২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে।
ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার আসমা খাতুন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শতভাগ উৎসবমুখর ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এবারই প্রথমবারের মতো ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হচ্ছে।আরও জানা যায়, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন ও নিরাপত্তার দায়িত্বে উপজেলায় ৯ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ৪ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ৩ জন পুলিশসহ আনসার ৬৩৬ জন, পুলিশের মোবাইল টিম ১৩টি, স্ট্রাইকিং টিম ৩টি ও ৬টি চেকপোস্ট নিয়মিত কাজ করছে।
