• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন

নেহারী বিক্রি করে সাবলম্বী হয়েছেন  উদয়পুরের ফিরোজ মিয়া

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৯২ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
নেহারী বিক্রি করে সাবলম্বী হয়েছেন উদয়পুর গ্রামের ফিরোজ মিয়া। চা দোকানের পাশাপাশি একসময় বিভিন্ন ছোটখাটো অনুষ্ঠানে রান্না করতেন ফিরোজ মিয়া। বছর খানেক আগে তার নিজ বাড়ির সামনে দুই যুগ আগে দেওয়া নিজের চা দোকানেই নেহারী বিক্রি করা শুরু করেন তিনি। সপ্তাহে শুক্রবার ও মঙ্গলবার এই দুই দিন তার দোকানে নেহারী বিক্রি করা হয়। একেক দিন সন্ধ্যায় তিনি ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ কেজি করে গরুর নেহারী বিক্রি করেন।বিভিন্ন জায়গায় সকালের নাস্তার সাথে নেহারী খাওয়ার প্রচলন থাকলেও ফিরোজ মিয়া নেহারী বিক্রি করেন সন্ধ্যার সময়। চাটখিল, বদলকোট, ভাটরাসহ আশপাশের বিভিন্ন বাজার থেকে গরুর পায়ের হাড় সংগ্রহ করেন তিনি। তারপর সপ্তাহে শুক্রবার ও মঙ্গলবার তিনি নেহারী ও চালের রুটি বিক্রি করেন। নিজ হাতেই নেহারী রান্না করেন তিনি। এরপর সন্ধ্যা নামলেই নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে ভিড় জমান বিভিন্ন বয়সী খাবার প্রেমিরা। শুক্রবার ও মঙ্গলবার ছাড়া অন্যদিনগুলোতে সন্ধ্যায় চালের রুটির সাথে হালিম তৈরি করে বিক্রি করেন তিনি।ফিরোজ মিয়া লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়পুর গ্রামের আবুল হোসেন মাস্টার বাড়ির আলী আজ্জমের সন্তান।ফিরোজ মিয়ার ‘মিয়া ভাই স্টোর’টির অবস্থান লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায় হলেও এটি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলা সংলগ্ন। ফরিদ আহম্মদ ভূঁইয়া একাডেমির পাশে অবস্থিত দোকানটি রামগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়কের চাটখিল উপজেলার দশঘরিয়া বাজার থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।মিয়া ভাই স্টোরের মালিক মো. ফিরোজ মিয়া দৈনিক স্বাধীন ভোরকে  বলেন, ‘২১ বছর যাবত চায়ের দোকান আমার। গত বছর থেকে এই চা দোকানে নেহারী বিক্রি করা শুরু করি। শুক্রবার ও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এখানে একশো বা তার একটুবেশি কাস্টমারকে আমরা নেহারী দিতে পারি। আমরা একেকদিন ৩০ থেকে ৩৫ কেজি হাড় রান্না করি। প্রায় সময় অনেকে এসে ফেরতও যান। তবে বেশিরভাগ কাস্টমার দূর দূরান্ত থেকে ফোন করে অর্ডার কনফার্ম করেই আসেন।’এখানে চালের রুটির সাথে নেহারী খেতে আসা মো. ইলিয়াস দৈনিক স্বাধীন ভোরের এই প্রতিনিধিকে জানান, বন্ধুদের কাছ থেকেই এখানকার নেহারীর অনন্য স্বাদের কথা শুনেছেন তিনি। তাই তারা চারজন মিলে বাইক নিয়ে হালিমা দিঘিরপাড় এলাকা থেকে এখানে এসেছেন।ফিরোজ মিয়ার বড় ছেলে মাহফুজ পাইপফিটিংস এর কাজ শেষে সন্ধ্যায় বাবাকে সহায়তা করেন। তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাকে ফোন করেও বাবার রান্না করা নেহারী খেতে আসেন। খেয়ে রান্নার সুনাম করেন সবাই। এটা শুনত ভালো লাগে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ