• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন

এমপি হয়ে মানুষের সেবা করতে চান- আ’লীগ নেত্রী নিশাত খান

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৯৬ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এখন আলোচনা সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচন ঘিরে। কুমিল্লা থেকে সংরক্ষিত আসনে এমপি হয়ে সংসদে যাওয়ার দৌড়ে আছেন ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন নেত্রী। এই তালিকায় বেশ জনপ্রিয়তায় ও লবিংয়ে এগিয়ে আছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিয়ষয় সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা সংস্থার সদস্য নিশাত খান।

সংরক্ষিত নারী আসনে নতুন মুখদের সুযোগ দিতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ

ইতোমধ্যে দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত ৫০টি আসনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, কমিশনের অনুমোদন পেলে ফেব্রুয়ারিতে ভোটের তারিখ রেখে চলতি সপ্তাহে সংরক্ষিত নারী আসনের ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে নতুন মুখদের সুযোগ দিতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ কারণে দলটি সাবেক সংসদ সদস্যদের এই সংরক্ষিত আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়ার কথা ভাবছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা। নতুন সিদ্ধান্তের কথা তারা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ইতোমধ্যে জানিয়েছেন। সংরক্ষিত আসনে সাবেক সংসদ সদস্যদের নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, ‘তবে কয়েকজনের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতে পারে। অন্যদিকে, দলীয় প্রধান সংরক্ষিত নারী আসনে নতুনদের সুযোগ দিতে তার আগ্রহের কথা জানান।
এসব বিষয়ে কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নিশাত খান বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তিনি আরোও বলেন, ১৯৭১ সালে দেশকে পকিস্থানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করার জন্য দেশের বিজয় পতাকা ছিনিয়ে আনার জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমার পরিবারের মাতৃকূল ও পিতৃকূলের অনেকেই মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন। আমার বাবা, চাচা, মামা সহ অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বীরত্বের সাথে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। আমার ছোট চাচা মনির আহম্মেদ খান (বীর প্রতীক- ৭৯) অসীম সহসীকতার সাথে যুদ্ধ করে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা থেকে পাক-বাহিনীকের বিতাড়িত করেন। এখনো বাংলাদেশের ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় আমার পরিবারের অনেক সদস্যবৃন্দ আওয়ামীলীগের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

করোনা কালীন সময়ে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে নিশাত খান

তখন থেকে আমি আজ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে চলেছি একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি আমার পরিবার থেকেই বঙ্গবন্ধুর কথা শুনেছি বঙ্গবন্ধুু আমাদের দেশের প্রতি তাঁর মহান আত্মত্যাগ ও অপরিহার্য্য সাহসী ভূমিকার কথা শুনেছি। একজন বঙ্গবন্ধু থেকে একটি জাতির পিতা হয়ে ওঠার কথা সেই থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজের বাস্তব জীবন ও রাজনৈতিক জীবনের আদর্শ হিসেবে ধারন করে আসছি। বাংলাদেশ, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুু ও শেখ হাসিনা একই সুতোয় গাঁথা’ এটা আমি বিশ^াস করি ও বুকে ধারণ করি। আমার এই বিশ^াসই আমার রাজনৈতিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে। অর্থাৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কথা, বক্তব্য, বিবৃতি ও মহান কর্ম থেকে শিখি। জাতির পিতাকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি বটে কিন্তু জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরাধিকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছায়াতলে থাকার সৌভাগ্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করিনি। এই জন্য যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের নিজের হাতে গড়া প্রণের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমার মনেপ্রাণে গেঁথে যায় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে আমার রাজনৈতিক জীবনের একমাত্র মডেল হিসেবে মেনে নিয়ে তার দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথেই অবিরত হাঁটার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কাজেই জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছেন। আমি সেই ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের নায়ক মমতাময়ী শেখ হাসিনার নির্দেশ পালন ও সেটা বাস্তবায়নই আমার রাজনৈতিক জীবনের সকমাত্র মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে যাচ্ছে, সত পরিস্থিতিতে যারা বাংলাদেশের উন্নয়নের ব্যাঘাত ঘটাতে চায় এবং সন্ত্রাস-নৈরাজ্য কায়েম করতে চায় ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতার অপশক্তিকে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ভাবেই এক চুল পরিমান বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, আমি সত্যি সত্যি মনে প্রাণে আওয়ামী লীগ করি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে কাজ করে চলেছি। আমি চাই সব সময় মানুষের পাশে থেকে জনগণের সেবা করতে। মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচক্ষণতার সঙ্গে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের সবার থেকে ভালো বোঝেন। আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি তিনি বিবেচনা করে দেখবেন বলে আশা করছি।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ