• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ায় গমের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৪৯ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
খাদ্যশস্যে ধানের পরেই রয়েছে গমের অবস্থান। এ বছর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বিপুল পরিমাণ গম চাষ হয়েছে। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। গমের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। গমের বাম্পার ফলনে আশাবাদী কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথা সময়ে কৃষকরা এবার গমের বাম্পার ফলন পাবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা মিরপুর, দৌলতপুর ও ভেড়ামারা। কুষ্টিয়ার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় এ উপজেলা ৩টিতে ২০১৬ সালে দেখা দেয় ব্লাস্ট রোগ। সে সময় গম আবাদে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এরপরেও কয়েকজন কৃষক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গম চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কৃষকরা প্রায় মুখ ফিরিয়ে নেয়, এ গম চাষ থেকে। পরে এসব গম চাষের জমি দখল করে নেয় বিষবৃক্ষ তামাক।তবে, এ বছর কৃষি অফিসের পরামর্শে আবারো গম চাষ করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমও ভালো হয়েছে। তবে এ বছর কোথাও ব্লাস্টের আক্রমণ দেখা দেয়নি। কৃষকরা তামাক চাষের পরিবর্তে আবার গম চাষ শুরু করেন। কিন্তু এ বছর চিত্রটা পাল্টে গেছে। বিগত দিনের মতো চাষিরা ঝুঁকেছেন গম চাষে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা গম চাষ করে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ ফলন হয়েছে।ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের নলুয়া-দলুয়া এলাকার কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, গত বছর আমার জমিতে তামাক ছিল। আমি এবার ৬ বিঘা জমিতে বারি গম-২৮ এবং বারি গম-৩০ জাতের গম চাষ করেছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় গম খুব ভালো হয়েছে। উপজেলার মওলার বিল এলাকার কৃষক মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, দু’বছর আগে গম চাষ করে রোগে গম নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ জন্য লোকসান হয়েছিল। এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি দুই বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। বেশ ভালো হয়েছে। এবার কোনো রোগও হয়নি।ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা সুলতানা জানান, বিনামূল্যে চাষিদের মাঝে প্রণোদনার বীজ-সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে ২০ কেজি করে গম বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ বছর ভেড়ামারা উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ গমের চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে ভেড়ামারা উপজেলার ১৫৮০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এবং গম চাষ হয়েছে ১৫৯০ হেক্টর জমিতে। ফলে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।ভেড়ামারা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার শাহানাজ ফেরদৌসী বলেন, গত বছর থেকে আমরা আবার গম চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। তারা পুনরায় গম চাষ করছেন। এ অঞ্চলের মাটি গম চাষের জন্য উপযুক্ত। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও জাতের গম চাষের জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ