• শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন

সময় ফুরিয়ে আসছে কি করবে বিএনপি

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৯১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩

আজ আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোয়ার উঠিয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এটি ঘোষণা করা হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশে। এর ফলে সারা দেশে একটি নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে। আগামীকাল জাতীয় পার্টি তাদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে।
তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকেও খুব শিগগিরই (দুই একদিনের মধ্যে) মনোনয়ন চূড়ান্ত ভাবে ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বিএনএমও মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শেষ করে এনেছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও বেশ কিছু রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে ফেলেছে। ২০১৪ সালে যে পরিস্থিতি হয়েছিল সেরকম পরিস্থিতির ধারেকাছেও এবারের পরিস্থিতি নয়। ২০১৪ সালে এরকম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সারা দেশে জ্বালাও পোড়াও, ভাংচুর অগ্নিসংযোগের এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সারা দেশে অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন এবং সেই অবরোধের কারণে বহু স্থানে জীবন যাপন অচল হয়ে গিয়েছিল। এ বারের বিএনপির আন্দোলন তার ধারেকাছেও নেই।
শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টি মাঝপথে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। এবার সে রকম পরিস্থিতিও নেই। আর গতবার জাতীয় পার্টি মহাজোটের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। ফলে ওই নির্বাচন হয়েছিল এক তরফা। ১৫৩ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছিলেন। এবারের পরিস্থিতি সেরকম নয়। বরং এবার তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, কিছু ইসলামি দল এবং জাতীয় পার্টি একযোগে নির্বাচন করছে। আজ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় একাধিক প্রার্থীর ওপর গুরুত্ব দেন। এমনকি তিনি ‘ডামি প্রার্থী’র কথা বলে বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে পরোক্ষভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। এর ফলে আগামী নির্বাচন যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অংশগ্রহনমূলক হচ্ছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সভাপতি এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেন কেউ নির্বাচিত না হন সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছেন। তার ফলে আর যাই হোক ২০১৪ এর মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। এখন বিএনপি কি করবে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির সামনে দ্রুত সময় ফুরিয়ে আসছে। বিএনপির এখন দুটি বিকল্প রয়েছে। একটি হল চলমান আন্দোলনকে তীব্র থেকে তীব্রতর করে নির্বাচনকে বানচাল করা। অন্যটি হলো নির্বাচনের সময় সীমা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য দেনদরবার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। কিন্তু দ্বিতীয় বিকল্প নিয়ে বিএনপি এখন পর্যন্ত ভাবছে না। বরং বিএনপির মধ্যে যে সমস্ত নেতারা নির্বাচনে যাওয়ার কথা ভাবছে তাদের ব্যাপারে কঠোর বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি এই সমস্ত ব্যক্তিদেরকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।
বিএনপিকে বিভিন্ন কূটনৈতিক মহল নির্বাচনে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু সেই পরামর্শ বিএনপি উপেক্ষা করেছে। এখন বিএনপির সামনে একটি বিকল্প আছে, তা হল আন্দোলন। অবশ্য বিএনপি নেতারা বলছেন, তাদের কাছে আরও বিকল্প আছে। তারা আসলে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় এবং নির্বাচন যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না এ ব্যাপারে তারা মোটামুটি নিশ্চিত। এরপর তারা আন্দোলনকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। কিন্তু সেটি আদৌ কি সম্ভব হবে—এই প্রশ্নটি এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বড় হয়ে এসেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ