• শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৯ অপরাহ্ন

খুনি সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে দেয়- মুজিবুল হক এমপি

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ১৩৩ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
সাবেক রেলপথ মন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ বীর মুক্তিযুদ্ধা মুজিবুল হক এমপি বলেন, হত্যা করলে , আদালতে তার বিচার হয়। বাঙালী জাতির দুর্ভাগ্য, তৎকালীন খুনি সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে দেয়। বাতিল ক্ষমতায় এসে ওই কালো আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত করে। পরে আইনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। অনেক খুনির ফাঁসি হয়েছে, অনেক খুনি এখনো পলাতক রয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে বাংলাদেশ আজ আমেরিকা, লন্ডন, কানাডা ও জাপানের মত উন্নত দেশ হয়ে যেতো। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা, বাংলার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ দূর্বার গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধিরা এখনো দেশে নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করেই যাচ্ছে। ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াত-শিবির এ শান্ত চৌদ্দগ্রামে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পরে কোনো সরকারের আমলে দেশে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সমগ্র দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ চৌদ্দগ্রামেও আমরা অনেক উন্নয়ন করেছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র চার মাস বাকী। আওয়ামী লীগ যদি দেশে কোনো ভালো কাজ করে থাকে, দয়া করে আপনারা জামায়াত-বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবেন। আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কা দিয়ে যাকে চৌদ্দগ্রামে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করবে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সে প্রার্থীকে পাস করানোর লক্ষ্যে আপনারা কাজ করবেন। আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করি।  তিনি ১৫ আগস্ট চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ কতৃক আয়োজিত দোয়া জাতীয় শোক দিবসের দোয়া, মিলাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ বাবুল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম এ বাহার, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা আবু তাহের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আকতার হোসেন পাটোয়ারী, মাহমুদুর রহমান খোকন, ইসহাক খাঁন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি ফারুক আহমেদ মিয়াজী, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,

 

কামরুল হাসান মুরাদ, কামরুল আলম মোল্লা, দফতর সম্পাদক নান্টু চন্দ্র দেবনাথ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মজিবুর রহমান মিয়াজী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হালিম চৌধুরী নিজাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামাল উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক জিএম জাহিদ হোসেন টিপু, ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, ভিপি মাহবুব হোসেন মজুমদার, নায়িমুর রহমান মজুমদার মাছুম, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সদস্য মাহবুবুল হক মোল্লা বাবলু, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছৈয়দ আহম্মদ ভূঁইয়া খোকন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন সর্দার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হক, উপজেলা যুবলীগ নেতা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী এনাম, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়েজুন্নেছা আমিন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আরশ মজুমদার, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বদিউল আলম পাটোয়ারী, পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ খাঁন শামীম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক কাউছার হানিফ শুভ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন চৌদ্দগ্রাম নজমিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন। এ সময় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় শোক দিবসের দোয়া, মিলাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমালিকা পাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম এ বাহার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ বাবুল, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধ কমান্ডার আবুল হাশেম প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ