স্টাফ রিপোর্টার
মানুষের সাথে প্রতারণা করে একের পর এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার মুফতি শহীদুল ইসলামের ছেলে এহতেশামুল হক শামেল। কখনো নিজেকে মন্ত্রীর আত্নীয়, সচিবের আত্নীয় আবার কখনো নিজেকে মন্ত্রীর স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে মহান সাজার চেষ্টা করেন। তার প্রতারণা থেকে রক্ষা পায়নি তার আপন ভগ্নিপতিও। টাকা আত্নসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালে নবীরগর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। নিঃস্ব হয়ে অনেকেই পথে পথে ঘুরছেন। মানুষকে আকৃষ্ট করে। সুন্দরী নারী দিয়ে বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় এই শামেল। কথিত রয়েছে এই শামেল একজন মুফতি! তার প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পায়নি সাবেক পুলিশ, মেজর ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরাও। দুরন্ধর এই প্রতারক সর্বশেষ মোঃ আজিজুস সালেহীন নামক এক প্রতিষ্ঠিত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীকে গাজীপুরের রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ এর মালিকানাধানা দেওয়ার স্বত্তে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু ঐ ব্যবসায়ীর নামে কোন ভবন বা জমি না কেনায় তার সন্দেহ হয়। তিনি বিভিন্ন তথ্যে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন- রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ তার মালিকানাধীন কোন প্রতিষ্ঠান নয়। প্রতারণায় ধরা পড়ে যাওয়ায় আত্নগোপনে চলে যায় প্রতারক শামেল। অতপরঃ ঐ ব্যবসায়ী বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
যার নং-০৫ তারিখঃ ০৪/০২/২০২৩ইং। এছাড়াও ঐ ব্যবসায়ী প্রতারণার প্রতিকার চেয়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার ফলশ্রুতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উক্ত মামলাটি ডিবি’র প্রধানকে মার্ক করেন। অদ্য ১০আগস্ট ডিবি কর্তৃক শ্রী মঙ্গল থেকে গ্রেফতার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। জানা যায়- এই প্রতারক নানান নামে কোম্পানি করে মানুষের টাকা আত্নসাৎ করেন। এক্সিস, হ্যাভিটেশান, তাজমহল আবাসনসহ নানান নামে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে। রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ নামক যৌথমালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠানটিকে একক দাবি করে মানুষকে প্রতারিত করছে। এ বিষয়ে মামলার বাদী মোঃ আজিজুস সালেহীন সাথে কথা হলে- তিনি বলেন, এই প্রতারক শামেল আমাকে ব্যবসায়িক পার্টনার করার কথা বলে আমার থেকে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। সে একজন বড় মাপের প্রতারক। খোঁজ নিলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।