বোতল কুড়িয়েই কেমন আয় হয়, জানতে চাইলে আরিফ বলেন, কোরবানির ঈদের আগে বোতলের কেজি ছিল ৩০ টাকা। এখন তা ২৫ টাকা। গতকাল থেকে সকাল পর্যন্ত ১৫ কেজির মতো বিক্রি করেছি। আজ সমাবেশ শেষ হতে হতে আরও বেশি জমা করে তারপর একসঙ্গে বিক্রি করবো।
সাহেব আলী বলেন, আমি ভবঘুরে। আমার দুনিয়ায় কেউ থেকেও নাই। যেখানে যখন যাই, সেখানেই থেকে যাই। বেশির ভাগ সময় এই উদ্যানের আশপাশেই থাকা হয়। বোতল খুঁজে খুঁজে তা বিক্রি করি। আমার সঙ্গে পরিবেশের কোনও সম্পর্ক নাই। জীবিকার তাগিদে আমি এটা করছি। আমার একটা মেয়ে আর দুইটা ছেলে। বউ মারা যাওয়ার পর ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এই টুকটাক কাজ করেই তাদের বড় করছি। এখন আর তারা কেউ খোঁজখবর নেয় না। আমিও কারও ধার ধারি না। নিজে যা পারি কামাই করে কোনোমতে জীবন বাঁচাই।
তৃতীয় জন ১২ বছর বয়সী রিফাত বলে, আমি আমার মা আর বোনের সঙ্গে থাকি। ছোটবেলায় বাপ মারা গেছে। আগে মা মানুষের বাসা-বাড়িতে কাজ করতো। এখন মা অসুস্থ। আগের মতো কাজ করতে পারে না। তাই আমি আর আমার বোন এখন কাজ করি।
সে আরও বলে, আমি পানি বিক্রি করি আবার বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করি। আবার মাঝেমধ্যে বাদাম-বুটও বিক্রি করি। আমার ছোট বোন রিমা (৮) চকলেট বিক্রি করে। এই কাজ করে আমাদের তিনজনের দিনকাল ভালোই চলছে।