• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন

বর্ষা মৌসুমেও খরা, আমন ধান রোপণে বিপাকে কৃষক

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ১৪৬ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩

বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ 
দিনাজপুরে ভরা বর্ষা মৌসুম পেরিয়ে গেলেও দেখা মিলেনি পর্যাপ্ত বৃষ্টির। অন্য বছর এ সময় মাঠ ঘাট বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেলেও এবার খরার কারণে মাঠ ঘাটগুলো এখনো শুকনো। এতে আমন ধান রোপণে বিপাকে ও দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার কৃষক। অন্য জেলা থেকে দিনাজপুর জেলা উঁচু জায়গায় অবস্থিত হওয়ার ফলে বৃষ্টির পানি দীর্ঘদিন জমে না। শুধু বর্ষা মৌসুমে ফসলি জমিগুলোতে পানি জমে। কিন্তু এবার বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি সময়েও তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় ও খরার কারণে ফসলি জমির পানি শুকিয়ে মাটি ফেঁটে যাচ্ছে। তার পরেও থেমে নেই কৃষকরা। পরবর্তীতে বৃষ্টি হওয়ার আশায় বর্তমানে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচ দিয়ে আমন ধান রোপণ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা।পানি ধরে রাখার জন্য জমির আইল সংস্কার, জমিতে চাষ, সেচ ও ধানের চারা রোপণ এবং ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ঝগড়ুপাড়া গ্রামের কৃষক ইবনে সউদ মন্ডল বলেন,যদিও একটু বৃষ্টি হয় সেই বৃষ্টিতে মাটিই ভিজে না। উপাই না পেয়ে এখন শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে ধান লাগানো শুরু করেছি। কিন্তু তাপদাহের কারণে মাটি শুকিয়ে রোপণ করা ধান গাছ মরে যাচ্ছে। এবার রাসায়নিক সার ও বিষসহ মজুরির দাম বৃদ্ধির ফলে ধান রোপণের খরচ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়াও অসহনীয় লোডশেডিংয়ের জন্য সেচ ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তাতে এবার আমান ধান উৎপাদন ও ফলনে অনিশ্চয়তায় আছেন তারা।
বিরামপুর উপজেলার কৃষি সমপ্রসারণ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস জানান,আমন ধান উৎপাদনের জন্য উপজেলায় ১৭ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন, এবার বৃষ্টির হওয়ার সম্ভবনা কম থাকায় বিএডিসি ও বরেন্দ্রকে বন্ধ থাকা সেচ যন্ত্রগুলো দ্রুত চালু করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও কৃষকদের আমন চাষে সকল প্রকার পরর্মশ দেওয়া হচ্ছে।এপর্যন্ত প্রায় ৫০%  জমিতে আমন ধান রোপণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ