• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন

পুলিশের সমালোচনা করে পুনর্নির্বাচন চাইলেন হিরো আলম

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৯৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ‘জালভোট ও অনিয়ম’ হয়েছে দাবি করে পুনর্নির্বাচন চেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। একই সঙ্গে ‘প্রার্থীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার’ জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।

রবিবার (২৩ জুলাই) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এ সংক্রান্ত আবেদন জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হিরো আলম।

পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য ‘দুঃখজনক’

একদিন পর রবিবার নির্বাচন ভবনে হিরো আলম তাকে নিয়ে পুলিশ কমিশনারের এই বক্তব্যকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেন।

হিরো আলম বলেন, ‘কমিশনার ফারুক স্যার যে কথাটা বলেছেন তা খুবই দুঃখজনক, লজ্জাজনক। তার লজ্জা থাকলে এই কথা বলতেন না। কারণ একটাই, উনি বলেছেন আমি নাকি একই কেন্দ্রে দুইবার গেছি। দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি, ভিডিও ফুটেজগুলো দেখবেন আমি ওই কেন্দ্রে দুইবার গেছি কিনা। একবারই গেয়েছিলাম।’

শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, পুলিশ পুরো দেশের নিরাপত্তা দেবে বলেও এসময় উল্লেখ করেন তিনি।

পুলিশের উচিত ছিল আমাকে সসম্মানে কেন্দ্রের ভেতর থেকে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম বলেন, ‘উনারা বলেছেন নিরাপত্তা ভেতরে (ভোটকেন্দ্রের ভেতরে) দেবেন, বাইরে দেবেন না। এটা ভুল ধারণা। কারণ, পুলিশ সারা বাংলাদেশে নিরাপত্তা দেবে, এটাই পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের দায়িত্ব ঢাকা-১৭ আসনের পুরো এলাকার নিরাপত্তা দেওয়া। অথচ দেখলাম আমাকে যারা মারধর করছে পুলিশ তাদের বের করে দিচ্ছে আমাকে বের করে না দিয়ে। তাদের উচিত ছিল আমাকে সসম্মানে কেন্দ্রের ভেতর থেকে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া।’

কেন্দ্রের বাইরে কি পুলিশের দায়িত্ব নেই এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘যখন আমাকে ওরা বেদম মারধর করছিল তখন পুলিশের কর্তব্য ছিল আমাকে রক্ষা করা। তারা বিজিবি মোতায়েন করেছে। তারা আমাকে মারতে মারতে যখন বিজিবির গাড়ির কাছে নিয়ে গেলো, তখন বিজিবির গাড়ি থেকে একটা লোকও নামলো না। তারা আমাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা অর্জন করেছে। পুলিশ আমাকে কোনও দিনই নিরাপত্তা দিতে পারেনি।’

কী বলা হয়েছে পুনর্নির্বাচনের আবেদনে

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া আবেদনে হিরো আলম বলেছেন, নির্বাচনের দিন ১৭ জুলাই ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে কমিশনে। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর ১ ঘণ্টার মধ্যে আমার তালিকাভুক্ত মনোনীত প্রায় ৮৮ জন এজেন্টকে ১৯টি ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যাপক জাল ভোট দেওয়া হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, নির্বাচনের দিন বিকাল ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে ভোটগ্রহণ পরিদর্শনে গেলে সরকার দলীয় ক্যাডাররা আমাকে মারধর করে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা। যা দেশ ও বিদেশের কোটি কোটি মানুষ ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন। ওই ঘটনার পর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের জোর করে বের করে দিয়ে ভোট গণনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ নির্বাচনবিধি পরিপন্থি। আমার ওপরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা, ব্যাপক জাল ভোট ও ভোট গণনার অনিয়ম নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

এই নির্বাচন বিধিসম্মত হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচনকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল ঘোষণা করে পুনর্নির্বাচনের দাবি করছি। সেই সঙ্গে নির্বাচনি বিধি লঙ্ঘনের দায়ে আমার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।

সাড়া না পেলে হাইকোর্টে রিট

পরে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম জানান, নির্বাচন বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করার পরামর্শ দেন। ইসির কোনও সাড়া না পেলে হাইকোর্টে রিট করবেন বলে জানান হিরো আলম। তিনি বলেন, ডিবি ও পুলিশের ওপর আস্থা রাখছি। অনেককে গ্রেফতার করেছে, ১৯ জন ধরা পড়েছে। মূল আসামি দুই জন এখনও ধরা পড়েনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ